ঢাকা: জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, বিজ্ঞান জাদুঘরে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের ঐতিহাসিক প্রদর্শনীবস্তু থাকবে না, এতে বিজ্ঞানের আধুনিক উদ্ভাবনও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সে লক্ষ্যে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের যে মহাকর্মযজ্ঞ চলছে এবং যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে তরুণ বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীদের সমসাময়িক ধারণা দেওয়ার জন্য একটি পরমাণু বিজ্ঞান কর্ণার স্থাপন সময়ের দাবি।
রোববার (০৮ অক্টোবর) বিজ্ঞান জাদুঘরে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অংশীজন সভা এবং তথ্য অধিকার আইন ও বিধি বিধান সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তরুণ বিজ্ঞানীদের ধারণা দিতে বিজ্ঞান জাদুঘর কেন্দ্রিক একটি জ্ঞান ভাণ্ডার থাকবে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এ কাজে বিজ্ঞান জাদুঘরকে সহযোগিতা করতে পারে। পৃথিবী জুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে, এ নিয়ে তরুণদের সম্পৃক্ত হতে হবে।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন, পাঠ্য পুস্তকের বাইরে বিজ্ঞান জাদুঘর এক বিশাল জ্ঞানের জগত, এখানে বিজ্ঞান ও প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে।
বক্তারা বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনমনে ধারণা দিতে এর প্রচার কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য কমিশনের পরিচালক (তথ্য, প্রশাসন ও আইটি) ড. মো. আব্দুল হাকিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২৩
এসএমএকে/এমএম