ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলো নতুন ৩ জেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলো নতুন ৩ জেলা

পদ্মা সেতু (মাওয়া) থেকে: বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে এতোদিন ৪৩টি জেলায় রেলপথ চালু ছিল। পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনের মাধ্যমে আরও তিন জেলা যুক্ত হল দেশের রেল নেটওয়ার্কে।

এই তিন জেলা হলো মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্বোধনী ট্রেনে চড়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলস্টেশনে যাতায়াতের মাধ্যমে চালু হলো এ রেলপথ।  

৬৪ জেলার মধ্যে বর্তমানে ১৮ জেলায় রেলপথ সংযোগ হয়নি। জেলাগুলোকে সরকার ২০৪৫ সালের মধ্যে রেলপথের আওতায় আনতে চায়। জেলাসমূহ হলো কক্সবাজার, নড়াইল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, শেরপুর, মানিকগঞ্জ, মাগুরা, লক্ষ্মীপুর ও বাগেরহাট। আর একমাত্র বিভাগ হিসেবে বরিশালের ছয় জেলা- বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।  

নভেম্বর মাসের উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের আরও দুই প্রকল্প। খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্প।  

দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যটন নগরী কক্সবাজার রেল সংযোগের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে দেশের পর্যটনপ্রেমী জনতা।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হবে ১২ নভেম্বর। এর মধ্যে দিয়েই কক্সবাজার জেলাও যুক্ত হবে দেশের রেল নেটওয়ার্কে।  

অন্যদিকে ৯ নভেম্বর চার হাজার ২৬০ কোটি টাকায় মোংলা-খুলনা রেল প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে রেল সংযোগে যুক্ত হচ্ছে বাগেরহাট জেলা। ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণের মাধ্যমে রেল করিডোরে যুক্ত হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা।  

এর আগে, ১৯১৮ সালে চালু হওয়া খুলনা-বাগেরহাট রেলপথ ১৯৯৮ সালে লোকসানের দেখিয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। আর ২০১২ সালে সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে এই সেকশনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ফলে বাগেরহাট জেলা রেল সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এ রেলপথে চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী বলেন, মোংলা-খুলনা রেলপথ শুধু সারাদেশের সঙ্গে নয়, রেলপথটি আন্তর্জাতিক রেল রুট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে।

আর ২০২৪ সালে পদ্মা রেল সংযোগের পুরো প্রকল্পের উদ্বোধন হলে যুক্ত হবে নড়াইল। আর মধুখালি-মাগুরা রেলপথের উদ্বোধন হলে নতুন করে যুক্ত হবে মাগুরা জেলা। তারপর ধীরে ধীরে রেলওয়ের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে যুক্ত হবে বাকি জেলাসমূহ। এসব জেলাকে রেলপথে সংযুক্ত করতে বিভিন্ন প্রকল্পের সমীক্ষার কার্যক্রম চলমান।

এরমধ্যে, প্রথম ধাপে সাতক্ষীরা, বরিশাল, রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও মেহেরপুর রেলপথের আওতায় আসবে। আর ২০৪৫ সালের মধ্যে সর্বশেষ ধাপে লক্ষ্মীপুর, শেরপুর, মানিকগঞ্জ, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা রেল সংযোগে যুক্ত হবে।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বর্তমানে দেশে ৪৩টি জেলায় রেলপথ রয়েছে।  

পর্যায়ক্রমে বাকি জেলাগুলো কিভাবে রেল সংযোগে যুক্ত হবে সে সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বর্তমানে যেসব প্রকল্পের সমীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে সেসব প্রকল্পের আওতায় রেলপথ নির্মিত হলে আটটি জেলা রেল সংযোগের আওতায় আসবে।   এই আট জেলা হচ্ছে সাতক্ষীরা, বরিশাল, রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও মেহেরপুর।

অপরদিকে মানিকগঞ্জ জেলায় রেলপথ নির্মাণের সমীক্ষা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন রেল মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এনবি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।