ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শরীয়তপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
শরীয়তপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু  ছবি: নিহত শিশু সোহেল বয়াতি ও সাদিকুল ইসলাম।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে সোহেল বয়াতি (৯) ও সাদিকুল ইসলাম (১২) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার ধানুকা এলাকায় সরকারি শিশু পরিবারের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল বয়াতি ডামুড্যা উপজেলার চর গঙ্গেস কাঠি এলাকার মৃত আলী আহম্মদ বেপারীর ছেলে ও সাদিকুল ইসলাম গোসাইরহাট উপজেলার চর জালালপুর এলাকার মৃত মাহমুদুল হাসানের ছেলে।  

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোহেলের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই এবং সাদিকুল ইসলামের বাবাও মারা গেছেন। তারা দুজনেই শহরের সরকারি শিশু পরিবারে থাকতো। বুধবার দুপুরে অন্যান্য শিশুরা শ্রেণিকক্ষে চলে গেলে সোহেল ও সাদিকুল সবার অগোচরে সরকারি শিশু পরিবারের অস্থায়ী টিনসেড ভবনের পেছনের পুকুরে গোসলে নামে। এসময় তারা সাঁতার না জানায় ডুবে যায়। পরে সেখানকার সহকারী তত্ত্বাবধায়ক শিশু দুটির খোঁজ না পেয়ে চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পুকুর ঘাটে তাদের জামাকাপড় দেখে সবাই মিলে পুকুরের পানিতে নামলে দুজনকে একসঙ্গে উদ্ধার করেন। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সাদিকুল ইসলামের মামা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুলাভাই মারা যাওয়ার পর আমার ভাগ্নেকে গত মাসে শিশু পরিবারে দেওয়া হয়।  দুপুরের দিকে সেখান থেকে মোবাইলে ফোন করে আমাকে হাসপাতালে যেতে বলেন। আমি হাসপাতালে গেলে জানতে পারি আমার ভাগ্নেসহ আরেক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ যদি শিশুদের ঠিকঠাকভাবে দেখাশোনা করতো তাহলে আমার ভাগনে আজ বেঁচে থাকতো।  

নিহত সোহেলের ফুপাতো বোন মাকসুদা বলেন, সোহেলের মা বাবা কেউ বেঁচে নেই। ওর জন্য যে কেউ কান্না করবে এমন কোনো কাছের লোক নেই। কয়েক মাস আগে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ওকে সরকারি শিশু পরিবারে দেওয়া হয়। মোবাইলে ফোন করে জানতে পারি আমার ভাই মারা গিয়েছে। আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি।

সরকারি শিশু পরিবারের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, ভেতরে পানির কল আছে সব বাচ্চারা সেখানেই গোসল করে। আজ অন্য শিশুরা সবাই ক্লাসে ছিল। আমি ওদের বারান্দায় খেলতে দেখে কাজ করতে অফিসে যাই। পরে এসে ওদের দেখতে না পেলে চারদিকে খোঁজখুঁজি শুরু করি। পরে পুকুরের পানি থেকে ওদের উদ্ধার করি।  

এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।