গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদরে দ্বিতীয় দফায় দাবি করা যৌতুকের টাকা না পেয়ে বেবি বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর জিহ্বা কাটার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রিপন মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় বেবিকে।
গৃহবধূ বেবি জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজীবপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে। অভিযুক্ত রিপন একই জেলা সদর উপজেলার পূর্ব কোমরনই কুঠিপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে বেবিকে বিয়ে করেন রিপন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বেবির ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালানো শুরু করেন রিপন। যৌতুক বাবদ শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আদায়ও করেন রিপন। গত কিছুদিন থেকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রী বেকি চাপ শুরু করেন স্বামী রিপন। গত ১৫ অক্টোবর সকালে যৌতুকের টাকার দাবিতে বেবিকে মারধর করেন স্বামী। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধারালো ছুরি দিয়ে বেবির জিহ্বা কেটে দেন রিপন। সে সময় বেবির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান রিপন। পরে বেবিকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নুরজাহান আক্তার বলেন, বেবির কাটা জিহ্বায় ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূ বেবির বোন মঞ্জুআরা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সোমবার রাতে আসামি রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
এসআরএস