ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জরুরিভিত্তিতে ফিলিস্তিনে ওষুধ পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
জরুরিভিত্তিতে ফিলিস্তিনে ওষুধ পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

ঢাকা: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলায় হাজারো অসুস্থ অসহায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা ও জরুরি ওষুধসামগ্রী পাঠাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।



বিকেলে টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

ফিলিস্তিনে ওষুধসামগ্রী পাঠানো প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের কষ্ট বোঝেন, ইসরায়েলের হামলায় হতাহত নারী-শিশুদের বেদনা অনুভব করছেন তিনি তার নিজের জীবনের হতাহতের ক্ষত থেকে। শিশু রাসেলের হত্যায় কী বেদনা হয়েছে সেটি প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন। এজন্যই বিশ্ব পরাশক্তিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফিলিস্তিনের নিরীহ অসহায় মানুষের জন্য কথা বলছেন, তাদের চিকিৎসা সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের আহত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে চাই। এক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে ওষুধসামগ্রী পাঠাতে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে সম্ভব সব চেষ্টাই করতে হবে।

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, রাসেলের হত্যাকারী ঘাতকরা পৈশাচিক মানসিকতার মানুষ। তারা নিষ্ঠুর, ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট। পৃথিবীর অনেক দেশেই অনেক রাষ্ট্রপ্রধানদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের কোথাও সপরিবারে হত্যার নজির দেখা যায়নি। এই হত্যাকাণ্ড একটি প্রতিশোধের হত্যাকাণ্ড। ৭৫ ও ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের হোতারা একই। এই হত্যাকাণ্ডে শুধু জামায়াত-বিএনপির পূর্বসূরিদের হাত ছিল। কারণ, জামায়াত-বিএনপির পূর্বসূরিদের স্বার্থই স্পষ্ট হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা কেবলই একটি নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, এটি ছিল জাতির ভবিষ্যত মেরুদণ্ডকে ভেঙে দিতে একটি পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতদের পরাজয়ের শোধ নিতে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট উপায়ে কাপুরুষোচিত উপায়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। হত্যাকারী ঘাতকরা কেবল জাতির পিতা এবং নারীদের হত্যা করেই থামেনি। হত্যাকাণ্ডের দিন ছোট্ট শিশু রাসেল যখন মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল তখন ঘাতকরা সেই ছোট্ট শিশু রাসেলকে অত্যন্ত নির্মমভাবে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে। সেদিন কেন শিশু রাসেলকে হত্যা করতে হয়েছিল? কী দোষ ছিল এই শিশুর? এটি কোনো সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। ঘাতকরা ছিল অত্যন্ত পৈশাচিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তারা নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক ছিল বলেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল এবং রাসেলের মতো এত ফুটফুটে শিশুকেও হত্যা করতে তারা পিছপা হয়নি।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানসহ আরও অনেকে।

সভায় দেশের আগামী শিশুদের রাসেলের মতো করে গড়ে তুলতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
আরকেআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।