ঢাকা: রাজনৈতিক দলের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ।
তারা এ হামলার জন্য বিএনপি–জামায়াতকে দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও দাবি জানান সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ।
বিবৃতিতে তারা জানান, শনিবার বিএনপির ডাকা সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চালাতে গেলে সেই দৃশ্যধারণ করেন সাংবাদিকরা। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা। তারা হামলে পড়েন সাংবাদিকদের ওপর।
বিএনপি কর্মীদের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে তারা আরও বলেন, সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট শেখ নাসির। তার ওপর হামলা করেছেন বিএনপিকর্মীরা। রাজারবাগ এলাকায় একুশে টেলিভিশনের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাঙচুর করে জামায়াত-বিএনপির কর্মী। এ সময় আহত হন একুশে টিভির সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন আরিফুর রহমান। নাইটিংগেল মোড়ে ভাঙচুর করা হয় যমুনা টেলিভিশনের একটি গাড়ি।
আরামবাগ মোড়ে নটরডেম কলেজের সামনে বিএনপির কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়েছেন ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস।
তিনি জানিয়েছেন, তাকে মারধর করে ক্যামেরা নিয়ে গেছেন যুবদল কর্মীরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পোস্টার ফেস্টুনে রাস্তার মাঝে আগুন দেওয়ার ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালায়। নয়াপল্টন সংলগ্ন নাইটিংগেল মোড়ে বিএনপি কর্মীদের হাতে আহত হয়েছেন সময় টিভির সাংবাদিক মারুফ।
হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন সাংবাদিক রাফসান জানি। প্রাণ বাঁচাতে তিনি সেগুনবাগিচার দিকে দৌড় দিলে হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। একপর্যায়ে রাফসান রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় তার মাথা ও সারা শরীরে বেদমভাবে আঘাত করা হয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।
বিবৃতিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা যাতে কোনো ছাড় না পায় তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিএফইউজে নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এসসি/এএটি