ঢাকা, শনিবার, ৪ আশ্বিন ১৪৩২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৬, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়া

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে সাত দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ শীর্ষক যৌথ অনুশীলন সমাপ্ত হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মহড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এ সমাপ্ত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস জাভেদ তানভীর খান বক্তব্য রাখেন এবং দুই দেশের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

এ মহড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এ শুরু হয়েছিল।  

যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছরই নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন চালিয়ে আসছে।  বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও আপদকালীন সংকট নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর  হেলিকপটার ও পরিবহন বিমানসমূহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।  

‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’- এ মূলত আপদকালীন এবং প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপটার ও পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন পরিচালনা করা হয়।  

‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এম আই-১৭ হেলিকপ্টার এবং প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুইটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের ৯২ জন সদস্য অংশ নেন। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা মহড়ায় অংশ নেন।

এই যৌথ অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের বিমান বাহিনী শুধু পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ই করবে না, বরং আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার এবং আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা প্রদান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মানবিক ও স্থিতিশীল ভিত্তি প্রদান করবে।

এজেডএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।