ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কুমারখালি মরা নদীতে পরিযায়ী পাখির কলতান, পর্যটনের সম্ভাবনা

এইচ এম নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
কুমারখালি মরা নদীতে পরিযায়ী পাখির কলতান, পর্যটনের সম্ভাবনা

ঝালকাঠি: পরিযায়ী পাখির কলকাকলি ও সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুখরিত নলছিটি উপজেলার কুমারখালির সুগন্ধা নদীর মরা নদী অংশ (মরগাঙ্গী)। এ নদীতে রয়েছে পর্যটনের সম্ভাবনা।

জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কুমারখালিতে প্রবহমান সুগন্ধা নদীর একটি মরা শাখা রয়েছে যা এলাকাবাসীর কাছে মরগাঙ্গী নামেই পরিচিত। নদীর প্রবহমান স্রোত না থাকায় স্থানটি এখন একটি বিশাল লেকের মতোই হয়ে গেছে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে থাকে এই জলরাশি। চারদিকে সবুজের সমারোহ সামনে বিশাল জলরাশিতে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখির ভেসে বেড়ানোতে সকাল সন্ধ্যায় যেন এক অপরূপ রূপ ধারণ করে।  

অনেকেই দূর দুরন্ত থেকে ঘুরতে আসেন এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা না থাকায় এখানে পর্যটকদের বসার বা ভালোমতো হাঁটার কোনো ব্যবস্থাও নেই। মরা নদী এক প্রান্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও সেটি উন্নয়নের বাইরে রয়ে গেছে। প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের আমলে সেই অংশের রাস্তাটি পাকা করে দেওয়া হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছিল। তারপর আর উন্নয়নের ছুয়া পড়েনি।

পর্যটকদের জন্য কিছু বসার বেঞ্চ, রাতের অন্ধকার দূর করতে কিছু বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হলে ব্যাপক লোক সমাগম হতে পারে এখানে। এছাড়াও পর্যটক টানতে কিছু পরিকল্পনা এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।  

এলাকাবাসীর আগ্রহে এই স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যেই এর লিজের মালিকদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছেন স্থানীয় সমাজকর্মী বালী তূর্য। তিনি বলেন, আমরা গত বছর থেকেই লিজ গ্রহীতাদের উৎসাহিত করছি এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় অঞ্চলে সামান্য কিছু বিনিয়োগ করতে। কিছু বসার বেঞ্চ আর লাইট হলেও এখানে প্রচুর লোক সমাগম হবে। পরিযায়ী পাখির কলকাকলীতে এলাকাটি মুখরিত থাকে। তাই এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।  

এই জলাশয়ের সরকারি লিজ গ্রহীতাদের একজন মৃত রুনু চৌধুরীর ছেলে রাজিব চৌধুরী বলেন, এখানে একটি পর্যটন স্পট বানানোর চিন্তাভাবনা আমাদেরও রয়েছে। তবে আপাতত বাঁধ দেওয়ার কাজটি বাকি রয়েছে। বাঁধের কাজ সম্পন্ন হলেই আমরা চেষ্টা করব যাতে এটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সবাই পরিবারসহ এসে উপভোগ করতে পারেন।

ইউপি সদস্য সুজাত সিকদার বলেন, আমরাও চাই এই স্থানটির কল্যাণে পুরো এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক। এখানে পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে, যার সঠিক ব্যবস্থাপনা হলে এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। যাতে করে আর্থসামাজিক ব্যাপক উন্নতি সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।