ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শিক্ষকের আছাড়ে মেরুদণ্ড ভাঙল মাদরাসাছাত্রের, মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
শিক্ষকের আছাড়ে মেরুদণ্ড ভাঙল মাদরাসাছাত্রের, মামলা

মাদারীপুর: মাদারীপুরে আছাড় মেরে ফয়েজ হাওলাদার (৮) নামে এক মাদরাসার ছাত্রের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।  

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে সদর মডেল থানায় শিশু ফয়েজের মা শ্যামলী আক্তার বাদী হয়ে দুইজনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্ত নুরানী শিক্ষক মাহাদী হাসান ও মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইমরুল কায়েমকে আসামি করা হয়েছে।

আহত ফায়েজ হাওলাদার মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়াচর গ্রামের সবুজ হাওলাদারের ছেলে। আর অভিযুক্ত মাহাদী হাসান চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যারেট কেয়ার মাদরাসার নুরানী শিক্ষক। তার বাড়ি পিরোজপুরে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোরে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যারেট কেয়ার মাদরাসার নাযেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়েজকে ঘুম থেকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাহাদী হাসান। এ সময় ফায়েজকে শ্রেণিকক্ষে উঠে দাঁড়াতে বলেন তিনি। শিক্ষকের কথা মতো না দাঁড়িয়ে, শ্রেণিকক্ষেই ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি। এসময় ফায়েজকে বেত্রাঘাত করে মাহাদী হাসান। একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে শিশুটিকে তুলে আছাড় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরদিন মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ফায়েজকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। পরে জানানো হয় তার স্বজনদের। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ধরা পড়ে শিশুটির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেছে। পরে বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে থানায় দুইজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। মামলার আসামি দুইজনকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।