ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইউএনএইচআরসির বিজ্ঞপ্তি

রাজনৈতিক ও শ্রমিক আন্দোলনে দমন-পীড়ন হয়েছে: জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
রাজনৈতিক ও শ্রমিক আন্দোলনে দমন-পীড়ন হয়েছে: জাতিসংঘ

ঢাকা: বাংলাদেশে ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে দমন পীড়ন চালানো হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মীদের আন্দোলনেও দমন পীড়ন চলছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)।

মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপদ, উন্মুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে দমন–পীড়ন চালানো হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মীদের আন্দোলনেও চলছে দমন–পীড়ন। এ ছাড়া সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের নেতাদের বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনকারী আইন সংস্কারে ব্যর্থতা গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক সহিংসতা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া বিক্ষোভ-আন্দোলন দমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর শক্তি প্রয়োগ, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের হয়রানি, ভয় দেখানো এবং বে-আইনিভাবে আটক রাখার অভিযোগ সামনে এসেছে। এসব নিয়ে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে সংবাদমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা, নজরদারি, ভয় দেখানো এবং বিচারিক হয়রানির কারণে এ মাধ্যমে ব্যাপক স্ব-সেন্সরশিপ ছড়িয়ে পড়েছে।

সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করায় উদ্বেগ জানিয়েছে এইচআরসি। সংস্থাটির মতে, এমন ঘটনা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। সেই সঙ্গে মৌলিক মানবাধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।

মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি–সংক্রান্ত এসব উদ্বেগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
টিআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।