টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির নামে করা ধর্ষণ মামলার বাদী এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মেয়েটির বন্ধু সৌরভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভিকটিম এশার বড় বোন লুনা মির্জা বাদী হয়ে তাদেরই বড় ভাই জনি ও এশার বন্ধু সৌরভের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি করার পর রোববার সকালে সৌরভকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, শনিবার রাতে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে এশা মির্জার বোন লুনা মির্জা মামলা করেন। মামলায় এশা মির্জার ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ নামে একজনকে আসামি করা হয়েছে। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। রোববার ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এশা বাদী হয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
মামলা দায়েরের পর বড় মনি উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। পরে আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জুন টাঙ্গাইল শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এশা। পরে আদালতের নির্দেশে এশার গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে দেখা যায়, অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া বড় মনি শিশুটির বাবা নন।
পরে আদালত গত ৯ অক্টোবর বড় মনিকে ১১ জুলাই উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন। ধর্ষণের মামলাটি টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিপিআই) তদন্ত করছে।
এর মধ্যে শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জনিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির বড় ভাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
এসআই