ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন ২০ সাংবাদিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন ২০ সাংবাদিক

ঢাকা: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এবার ১৯টি ক্যাটাগরিতে ২০ জন সদস্যকে ‘বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এর মধ্যে ১৫ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং ২ জন যুগ্মভাবে ৫০ হাজার টাকার চেক পেয়েছেন।  

এছাড়া পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সৌজন্যে ৩ ক্যাটাগরিতে তিনজনকে ১ লাখ টাকা করে চেক দেওয়া হয়েছে।

এবার প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১৪ জন রিপোর্টার ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।  

তারা হলেন-‘মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি’ ক্যাটাগরিতে দৈনিক সমকালের আবু সালেহ রনি, ‘শিক্ষা’ ক্যাটাগরিতে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ’র শাহীন আক্তার, ‘অপরাধ ও আইন শৃঙ্খলা’ ক্যাটাগরিতে ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান, ‘তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে দৈনিক জনকণ্ঠের রহিম শেখ, ‘ক্রীড়া’ ক্যাটাগরিতে দৈনিক কালের কণ্ঠের (বর্তমানে অনলাইন গণমাধ্যম সকাল সন্ধ্যায় কর্মরত) রাহেনুর ইসলাম, ‘স্বাস্থ্য’ ক্যাটাগরিতে দৈনিক যুগান্তরের হক ফারুক আহমেদ, ‘সেবাখাত’ ক্যাটাগরিতে দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের ফয়সাল খান, ‘কৃষি ও পরিবেশ’ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই অনলাইনের আরেফিন তানজীব, আর্থিক খাত (ব্যাংক, বিমা ও পুঁজিবাজার)’ ক্যাটাগরিতে দৈনিক কালবেলার মোহাম্মদ ইউসুফ (ইউসুফ আরেফিন), ‘বৈদেশিক সম্পর্ক (কূটনীতি ও জনশক্তি)’ ক্যাটাগরিতে দৈনিক সমকালের রাজীব আহাম্মদ, ‘নারী, শিশু ও মানবাধিকার’ ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজের ঝর্না মণি, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি’ ক্যাটাগরিতে শেয়ার বিজের ইসমাইল আলী এবং ‘সুশাসন ও দুর্নীতি’ (অনুসন্ধানী) ক্যাটাগরিতে দৈনিক প্রথম আলোর আরিফুর রহমান শ্রেষ্ঠ রিপোর্টারের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

টেলিভিশন ও রেডিও বিভাগে ‘কৃষি ও পরিবেশ’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ রিপোর্টারের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন যৌথভাবে চ্যানেল২৪ এর মাকসুদ উন নবী ও মাছরাঙা টেলিভিশনের আবু জাহেদ মুহ. সেলিম। আর ‘নারী, শিশু ও মানবাধিকার’ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল২৪ এর মাসউদুর রহমান শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের পুরস্কার জিতেছেন।

এবার বিজিএমইএ’র সৌজন্যে তিনটি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ‘পোশাক খাত’ ক্যাটাগরিতে সারাবাংলা ডটনেটে’র এমদাদুল হক তুহিন, ‘সামগ্রিক অর্থনীতি’ ক্যাটাগরিতে ইংরেজি দৈনিক ‘ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’-এর দৌলত আক্তার মালা এবং একই দৈনিকের জসিম উদ্দিন হারুন ‘অর্থনীতিতে অনুসন্ধান’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ রিপোর্টারের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের (এআইবিএল) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (হেড অব পিআরডি) জালাল আহমেদ।  

বক্তব্য রাখেন বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড এর জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরদার এবং বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড উপ-কমিটির সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এমন একটি সংগঠন রাজনৈতিকভাবে গত ২৮ বছরে বিভক্ত হয়নি। আশাকরি ভবিষ্যতেও হবে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক কষ্ট করে রিপোর্ট তৈরি করে আনেন রিপোর্টার। কিন্তু সেগুলো আলোর মুখ দেখে না, এমন ঘটনাও ঘটে। অবশ্যই আমাদের মুক্তবাজার অর্থনীতির দেশে যে কেউ পুঁজি বিনিয়োগ করতে পারে মিডিয়াতে। বিনিয়োগ করলে সেটি যারা সাংবাদিক, তাদের চাকরির একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়। কিন্তু আমি মনে করি, সেই ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে যেমন পরিচালক পর পর দুইবার থাকার পর আর থাকতে পারেন না এবং সেই ব্যাংক থেকে পরিচালকরা ঋণ নিতে পারেন না। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নিয়ম এবং আইন। পত্রিকা বা টেলিভিশন অর্থাৎ গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও এ ধরনের কিছু নিয়মকানুন থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই মালিকপক্ষ বিনিয়োগ করতে পারে। বিনিয়োগ করলে সেই গোষ্ঠীর বিপক্ষে যাবে এমন সংবাদ পরিবেশিত হবে না, সেটা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। যত পত্রিকা বাড়বে সেটি দেশের বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে যেমন বিকশিত করবে, একই সঙ্গে মতপ্রকাশের অবারিত ক্ষেত্র তৈরি হয় এবং গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা উপকৃত হয়।

অনুষ্ঠানে জুরি বোর্ডের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার ও মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে ডিআরইউর সহ-সভাপতি দীপু সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল আহসান, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম, নারী বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম মনি সেঁজুতি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মহসিন বেপারী, কিরণ শেখ ও এস এম মোস্তাফিজুর রহমান সুমন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
টিএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।