ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বড় বড় দেশের রাষ্ট্রদূতরা তার দেশের জিনিস কেনার জন্য রীতিমত পীড়াপীড়ি করেন। এটা তাদের দায়িত্বেরই অংশ।
কাতার সফর শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব মধুর। ঘানা সফরকালে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা যৌথভাবে একটি প্রোগ্রামও করেছি। তারা আমাদের খুব প্রশংসাও করেছে। তারা কোনো অস্বস্তির কথাও তোলেনি। আমরা আগামীতে তাদের সঙ্গে খুব শক্তিশালী সম্পর্ক গঠন করবো বলে আশা করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যেটা চায়, আমরাও সেটা চাই। তারা চায় ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন)। আমরাও চাই। তবে এর সঙ্গে তারা যুক্ত করেছে নন ভায়োলেন্স (সংঘাতমুক্ত) যেন হয়। তবে এটার নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না। কেননা এটা সব রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তারাও সেটা বোঝে। আর তারা আমাদের বন্ধু বলেই উপদেশ দেয়। তারা স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) নিয়ে কখনো আমাদের সঙ্গে আলাপ করে না।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কাছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রি করতে চায়, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকষর্ণ করলে মোমেন বলেন, এটা সব রাষ্ট্রদূতই করে। আমাদের রাষ্ট্রদূতরাও বলে, তবে আমরা একটু কম বলি। কিন্তু বড় বড় দেশের রাষ্ট্রদূতরা তার দেশের জিনিস কেনার জন্য রীতিমতো পীড়াপীড়ি করেন। এটা তাদের দায়িত্বেরই অংশ। আমরা এতে কিছু মনে করি না। এটা আপনি গ্রহণ করলে ভালো, না গ্রহণ করলেও গ্রহণীয়।
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব দিয়েছে বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার জন্য। ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি সরকার থেকেও উড়োজাহাজ ক্রয়ের প্রস্তাব আছে। আমরাও কেনার অঙ্গীকার করেছি। তবে আমরা টাকার জন্য কিনতে পারছি না। আমরা উড়োজাহাজ কিনবো, আমাদের যাত্রীও বেড়েছে। এই খাত আমরা একটু বৈচিত্র্যপূর্ণ করতে চাই। বোয়িং এখন আমাদের সস্তায় উড়োজাহাজ দিতে আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য ভালো সংবাদ। যারা বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বানায়, তাদের সবাইকে বলেছি আমরা তাদের কাছ থেকে ১০টি করে উড়োজাহাজ কিনব। এতে তারা খুশী।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মোমেন বলেন, কেনাবেচার জন্য মার্কিন চাপ নেই। এটা তাদের প্রস্তাব। এটা তাদের অনুরোধ। এটা একটি সিস্টেম।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো টানাপোড়েন নেই। আপনারা (সাংবাদিক) তাদের শুধু খামাখা ত্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
টিআর/এইচএ/