ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রবৃদ্ধি নয়, সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে: সিপিডি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
প্রবৃদ্ধি নয়, সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে: সিপিডি ছবি: রাজিন চৌধুরি

ঢাকা: বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যে অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, নির্বাচনের পরই সেটি ঠিক হবে না। নীতি নির্ধারকদের এটি ঠিক করতে হবে।

এ জন্য প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর মোহ থেকে বের হয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় সিপিডির কার্যালয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪ চলমান সংকট ও করণীয় শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমরা আগেও বলেছি প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ শতাংশ বাস্তবসম্মত না। সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো করতে কাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার অভাব আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের গুটিকয়েক, স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বন্ধের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন। বর্তমানে যে প্রধান সমস্যা, এটি বাজার সিন্ডিকেটের ফলে তৈরি হয়েছে। এখানেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই সমস্যা হচ্ছে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ঋণের পরিমাণ আশংকাজনক না। কিন্তু, এই ঋণের পরিষেবা একটা চাপ সৃষ্টি করে। আমাদের রাজস্ব আয়ের পুরোটাই চলে যায় রাজস্ব ব্যয়ে। বার্ষিক উন্নয়নের পুরোটাই ঋণ নির্ভর। তখন এই ঋণ পরিষেবার জন্যই আবার ঋণ নিতে হয়। কোনো উদ্বৃত্ত নেই। পৃথিবীতে এরকম কোনো দেশ নেই। এটাকে বলে ঋণের ফাঁদ। আমাদের যেভাবেই হোক এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই মুহূর্তে আর কোনো মেগা প্রকল্পে না গিয়ে প্রকল্পগুলোকে ট্রান্সপোর্ট করিডোর নয়, বরং ইকোনমিক করিডোরে রূপান্তর করতে হবে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন করতে কাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বর্ডার গার্ড, বেপজার মতো ১২টি প্রতিষ্ঠানে সংস্কার দরকার। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। এবং যে ধরনের নির্বাচন হলে সংস্কার হবে, সেটির দিকে দেশ যাচ্ছে না, আমরা এমন ইঙ্গিত পাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
এমকে/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।