ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচনী সহিংসতা

সুনামগঞ্জে নৌকা-ঈগল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত শতাধিক, গুলিবিদ্ধ ৩০

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
সুনামগঞ্জে নৌকা-ঈগল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত শতাধিক, গুলিবিদ্ধ ৩০

সিলেট: সুনামগঞ্জে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

সংঘর্ষস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ জানুয়ারি)  দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।  

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয় গ্রামের লোকজন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ওই দুই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত ৭  জানুয়ারি নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিক এবং ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের শামীম আহমদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফলাফলে বিজয়ী হন নৌকার প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক। নির্বাচন ইস্যুতে উপজেলা সদরে দুইপক্ষের উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরবাসীর নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মাছিমপুরের আমরু মিয়ার ছেলে ঈগল মার্কার সমর্থক শামীম আহমদের সঙ্গে পাশের নৈনগাঁও গ্রামের নৌকার সমর্থক আবুল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আবুল মিয়ার সমর্থকরা শামীম আহমদের পূর্ব মাছিমপুরের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে।  

পুলিশ রাতেই পরিস্থিতি শান্ত করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। বুধবার সকালে আবুল মিয়া দোয়ারা বাজারের বাসভবনে এলে শামীম আহমদের লোকজন হামলা করে।

এই ঘটনার খবর নৈনগাঁও গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে আবুল মিয়ার পক্ষের নৈনগাঁও গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা সদরে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারীও রয়েছেন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্ম কর্তা বদরুল হাসান জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামতে পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে জড়িত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার তনু জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

 পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
এনইউ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।