বরিশাল: জেলায় হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেই বৃষ্টি হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে বরিশালে শীতের মাত্রা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
এরই মাঝে শীত আর বৃষ্টির কারণে বরিশালের বেশ কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখতে দেখা গেছে।
তবে বৃষ্টি আর শীতের কারণে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা ছিল। অতি প্রয়োজন ছাড়া তেমন কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি।
শীতের মধ্যে এমন বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর শ্রেণির মানুষ।
সবজি বিক্রেতা আহম্মদ বলেন, বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা কমে গেছে। ভোগান্তিতেও পড়তে হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বরিশালে সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে অনুভূত হয় তীব্র শীত। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় শীত মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি। এ কারণে আরও বেশি ঠাণ্ডা পড়েছে। আগামী কয়েকদিনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক হুমায়ন কবির জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গত রোববার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেল জানান, তীব্র শীতের কারণে বরিশালসহ আশপাশের এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ মৌসুমে বৃষ্টি হওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। আগামী ৪-৫ দিন শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এমএস/এফআর