নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা বাড়লেও সূর্য উঁকি না দেওয়ায় ও কুয়াশার দাপট থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে সৈয়দপুরে আবহাওয়া অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলায় শহরের হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, সকাল ৬টা ও ৯টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা থাকায় এখনো সূর্যের দেখা মিলছে না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলতে পারে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগও বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করেও সকাল থেকে কাজে বের হয়েছেন তারা। বলছেন, জীবিকার তাগিদে যত কষ্টই হোক ঘরে থাকার উপায় নেই।
সৈয়দপুরে পেপার বিক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশায় আর ঠান্ডায় হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সকাল ৬টায় পত্রিকার নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেড় হয়ে বাজারে এসেছি। এখন গাড়ির কোনো খবর নেই।
শহরের ফুল বিক্রেতা নওশাদ বলেন, কয়েক দিন থেকে ঠান্ডার কারণে ফুলের বেচাকেনা নেই। যে ফুল নিয়ে এসেছি। সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমানো টাকা খরচ করে সংসার চালাচ্ছি। এ রকম আবহাওয়া থাকলে পথে বসতে হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, জেলায় কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে। এতে ছোট ছেলেমেয়েদের খুব কষ্ট হয়। যেহেতু তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি নিচে নামলে শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে তাই উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
এসএম