ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাতের আঁধারে মরিচ গাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
রাতের আঁধারে মরিচ গাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা

মাগুরা: মাগুরার মহম্মদপুরে কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে রোপণকৃত মরিচের প্রদর্শনী ক্ষেতের মরিচ গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষাণী রেহেনা খাতুন।

 

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাঠে গিয়ে জমির মরিচ ক্ষেত কাটা অবস্থায় দেখতে পান কৃষাণী।  

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষাণী রেহেনা খাতুন মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা বিনোদপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

রেহেনা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমি মরিচ চাষের ওপরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। সেখান থেকে নিরাপদ উপায়ে মরিচ চাষ করার জন্য কৃষি অফিস আমাকে প্রদর্শনী দেন। আমি ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং ব্যবহার করে চাষ করেছিলাম। এলাকার অন্য কৃষকের তুলনায় বেশ ভালো মরিচ গাছ হয়েছিল আমার। কিন্তু সকালে এসে জমিতে দেখি রাতের আঁধারে কে বা কারা আমার মরিচ গাছগুলো কেটে ফেলেছে।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দাস বাংলানিউজকে জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পে আওতায় আমরা কৃষাণী রেহেনা খাতুনকে নিরাপদ উপায়ে মরিচ চাষের জন্য প্রদর্শনী দিয়েছিলাম। সেটি খুব ভালো বাস্তবায়ন হয়েছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা মরিচ ক্ষেত নষ্ট করায় তিনিসহ এলাকার অন্যান্য কৃষকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কারণ এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তির প্রদর্শনী ছিল।

মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জানান, ইতিমধ্যে এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, আমরা নিরাপদ উপায়ে কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল আবাদে প্রদর্শনী দিয়েছি। যার মাধ্যমে আরও কৃষকেরা এগুলোর চাষ পদ্ধতি জানতে পারে। কিন্তু এভাবে ক্ষেত কেটে দেওয়াটা খুবই ঘৃণীত কাজ। এর ফলে সাধারণ কৃষকেরাও প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।