ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাকৃবিতে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
বাকৃবিতে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির ঘটনায় আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিচারসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন তারা।

রোবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বিক্ষোভ মিছিলটি পশুপালন অনুষদের গেইট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন তালা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হল- বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত সিএনজি ও অটো চলাচল নিষিদ্ধ করা, রিকশাগুলোর নির্ধারিত কোড ও চালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির ঘটনায় অবিলম্বে বিচারের ব্যবস্থা করা।  

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় হতে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় সিএনজি চালক কর্তৃক শ্লীলতাহানির শিকার হয় পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায় শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষুব্ধ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগ পত্র জমা দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই, সেখানে কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেছে। তাই আমরা (প্রক্টর এবং সহকারী প্রক্টর) দায়িত্ব থেকে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তাই অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ পথগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী জোরদার করার জন্যে সাধারণ নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তায় আগামীকাল থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং শ্লীলতাহানির ঘটনায় উপযুক্ত বিচারের জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রক্টর এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটু সমস্যা হয়েছিল। তা সমাধান করা হচ্ছে, আশা করছি তারা দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে আসবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।