ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে বেসরকারি ক্লিনিক বলাকা জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে বলাকা জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই নবজাতকের জন্ম হয়।

অপারেশন করেন ডা. শ্যামলী আক্তার। জন্মের পর শিশুটির পা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই বলে শিশুটির বাবাকে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর শিশুটিকে দ্রুত কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাতে বলেন তারা। সেদিন রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় পরদিন শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নবজাতককে নিয়ে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তার বাবা। কিন্তু সেদিন চিকিৎসক না থাকায় রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অন্য আরেকটি প্রাইভেট ক্লিনিকে শিশুটির পায়ের এক্সরে করে জানতে পারেন যে জন্মের সময় পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।

নবজাতকটির বাবা জাহিদ হোসেন বলেন, সিজারিয়ান অপারেশনের আগে যে কয়েকটি পরীক্ষা করেছি, প্রতিটি পরীক্ষায় দেখা গেছে বাচ্চাটি সুস্থ আছে। কিন্তু সিজারিয়ান অপারেশনের পর একজন নার্স এসে আমাকে জানান, আপনার বাচ্চার পা অ্যাবনরমাল (অস্বাভাবিক রকম বাঁকা) ছিল। তাই ডাক্তার একটু টেনে সেটা ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন। আপনার বাচ্চাকে দ্রুত শিশু ডাক্তার দেখান। পরে আমি শিশু বিশেষজ্ঞ কবিরুল আলমকে দেখালে তিনি এক্সরে রিপোর্ট দেখে বলেন, শিশুটির পা ভেঙে গেছে।  

এ ব্যাপারে বলাকা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাজমুল হক বাবু বলেন, অপারেশনের সময় আমরা সেখানে ছিলাম না। কার কাছ থেকে পা ভেঙেছে জানি না। ডাক্তারের কাছ থেকেও ভাঙতে পারে, আবার বাচ্চার পরিবারের লোকজনের কাছ থেকেও ভাঙতে পারে।

চিকিৎসক ডা. শ্যামলী আক্তার বলেন, আমি যখন অপারেশন করি, তখন সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। সুস্থ মেয়ে বাচ্চা রোগীর লোকজনকে বুঝিয়ে দিয়েছি। পরে কীভাবে পা ভেঙেছে, আমি জানি না।

মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, নবজাতকের পা ভাঙার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।