ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মায়ের মৃত্যু, ইতালি থেকে দেশে ফিরে পথেই লাশ হলেন ছেলে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
মায়ের মৃত্যু, ইতালি থেকে দেশে ফিরে পথেই লাশ হলেন ছেলে

নরসিংদী: মা মারা গেছেন। সেই সংবাদে ইতালি প্রবাসী ছেলে ছুটে এলেন দেশে।

কিন্তু মায়ের মুখটা আর দেখা হলো না। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় নিজেই হলেন লাশ।

মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর শিবপুরে।  ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা ওই ইতালি প্রবাসী তার বোনজামাই নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের ঘাসিরদিয়া খালপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার শাজাহান মেম্বারের ইতালি প্রবাসী ছেলে শাহ আলম (৬২), একই এলাকার শামসুদ্দিন মিয়ার ছেলে ও নিহতের ছোট বোনের জামাই সেলিম মিয়া (৪৫)।

পুলিশ ও নিহতদের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ইতালিতে বাস করছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহ আলম। বুধবার সন্ধ্যায় বার্ধক্যজনিত কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন তিনি। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভাড়া করা মাইক্রোবাস নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন বোন জামাই সেলিম। ওই মাইক্রোবাসে করেই বাড়ি ফিরছিলেন শাহ আলম।  

বেলা ১১টার দিকে শিবপুরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঘাসিরদিয়া খালপাড় এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের মাইক্রেবাসকে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়।  এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় নরসিংদীর ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেলিমের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইতালি প্রবাসী শাহ আলম।

চালকসহ আহত অপর দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।  

ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আরিফ বলেন, দুর্ঘটনার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গতির কারণে দুটি যানবাহনের সংঘর্ষ হয়। এতে ২ জন মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।