ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১১ দিন পর মেয়ের মরদেহ পেয়ে যা বললেন বৃষ্টির বাবা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
১১ দিন পর মেয়ের মরদেহ পেয়ে যা বললেন বৃষ্টির বাবা  মেয়ের কফিনসহ অ্যাম্বুলেস্টে বৃষ্টি খাতুনের বাবা শাহাবুল আলম ওরফে সবুজ খানে

অবশেষে নিহতের ১১ দিন পর অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ বুঝে পেল তার পরিবার।

সোমবার (১১মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ বৃষ্টির বাবা শাহাবুল আলম ওরফে সবুজ খানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এগারো দিন পর মেয়ের লাশ বুঝে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহাবুল আলম সবুজ।  

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে বৃষ্টি খাতুনের বাবা বলেন, আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া যে ১১ দিন পার হলেও নিজের মেয়ের মরদেহ বুঝে পেলাম।  

প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমার সন্তান আমার কাছে ফেরত দিয়েছে। আমি সন্তুষ্ট।

কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, আজ ১১ দিন ঘুরতেছি, আমি একটা বাবা মেয়ের লাশ নিতে পারতেছি না। এই ১১টা দিন কীভাবে ঘুমাইছি কীভাবে থাকছি! ১১টা রাত ঘুমাতে পারি নাই। তার (বৃষ্টি) মায়ের কষ্ট কীভাবে বোঝাব! কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছে সে। তার বোন দুটাও কান্না করতেছে। এই ভোগন্তিতে পড়েছিলাম। আল্লাহ সেখান থেকে হেদায়েত করে এবং সব তথ্য যাচাই বাছাইয়ের পর আমার সন্তানকে ফেরত পেয়েছি।

বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আগুনের ঘটনার পরদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তার বাবা সবুজ খান। তবে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেন, মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। মেয়েটি নিয়মিত মন্দিরে আসতেন। উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপর বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মর্গ থেকে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গতরাতে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আবারও লিখিতভাবে আবেদন করেন, আমার কোনো দাবি নেই, ভুল বোঝার কারণে হয়েছে। মরদেহ প্রকৃত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক।

বৃষ্টি খাতুনের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার বনগ্রামে। সেখানে ব্র্যাক স্কুল থেকে পাস করে হাইস্কুলে ভর্তি হন তিনি। গ্রাম থেকে এসএসসি, ও কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকায় ইডেন কলেজে ভর্তি হন বৃষ্টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
এজেডএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।