ঢাকা: প্রশাসনে বদলির আদেশ হলে সেটি যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সোমবার (১ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি করা হলেও তাদের কেউ কেউ তাদের কর্মস্থলে যাননি এবং তদবির করে ক্যানসেল করানোর প্রবণতা বাড়ছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বদলি আমাদের প্রশাসনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বদলি করে বদলি হওয়া স্থানে তাকে যেতে হবে, এটাই হলো নিয়ম। এটা সর্বাত্মকভাবে অনুসরণ করব, এটাই প্রত্যাশা এবং এটি আমরা সব সময় এস্টাবলিস্ট করে থাকি। কখনো কখনো ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, আমি উদাহরণ দিতে পারি আপনাকে, আমি নিজেও একটি কেইস হ্যান্ডেল করছি। হাজব্যান্ড এবং ওয়াইফ এক জায়গায় ছিলেন। একজনকে বদলি করে দিয়েছে। তারা দুইজনে আমার কাছে এসে ছিলেন, আমাদের বদলিটা ক্যানসেল করেন। তারা দু’জনই এক জায়গায় থাকতে চাচ্ছেন। আমি তখন বলেছি, না আপনার হাজব্যান্ড যেখানে পড়েছেন, আমি সেখানে আপনাকে পাঠাতে পারি, আপনার হাজব্যান্ডকে আমি ক্যানসেল করব না। আমি সেটা বলে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঠেকানোর চেষ্টা করেন, সেটি হলো গর্হিত কাজ। অনেক সময় আমার নিজের চাকরি জীবনে দেখেছি, বদলি করেছেন কিন্তু ওখানকার যে কর্মকর্তা, তিনি হয়তো মনে করছেন আরও কিছুদিন আমাদের সঙ্গে থাকুক তার সার্ভিস ভালো। ভালো খারাপ দুটোই হতে পারে। তারা আরও কিছুদিন রাখতে চান। এটি কিন্তু আমাদের প্রশাসনিক কার্টেসির একটি অংশ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যখন সিনিয়র অফিসার চান তখন আমরা কিছুদিন রেখে দেই কিন্তু এটা এই না যে, তাকে বদলি করা যাবে না, বদলি অবশ্যই তাকে করতে হবে; তিনি তো স্থায়ী থাকতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, এখন আমরা যে কাজটা করার চেষ্টা করছি, জনপ্রশাসনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, বদলির আদেশ হলে সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। যদি কোনো বিশেষ যুক্তি থাকে, কোনো পরিস্থিতি থাকে, সেটি বিবেচনা পরবর্তী সময় করা হবে, তবে এ রকম না ঢালাওভাবে। বাস্তবতা যদি থাকে, প্রয়োজন যদি থাকে, সেটি বিবেচনা করতেই হবে। এটা নিয়ে তো বিতর্ক করার কিছু নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৪
এমআইএইচ/এএটি