ঢাকা, শনিবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

একসঙ্গে গাজা অভিমুখে ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌ-যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৫৯, অক্টোবর ৪, ২০২৫
একসঙ্গে গাজা অভিমুখে ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌ-যান

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সবগুলো নৌ-যান ইসরায়েল কর্তৃক আটক হলেও ভূমধ্যসাগরে হয়ে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা অবিরত রেখেছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌ-বহর। এ বহরে ‘কনশানস’ নামে একটি বড় জাহাজ রয়েছে, যার আওতায় রয়েছে আরও আটটি নৌ-যান।

বর্তমানে সবগুলো একসঙ্গে গাজা অভিমুখে রয়েছে।  

কনশানস জাহাজটিতে অবস্থান করছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে কনশানস জাহাজ সম্পর্কে জানান তিনি।  

ফেসবুকের মাধ্যমে শহিদুল আলম জানিয়েছেন, গাজার দিকে অগ্রসর হতে থাকা কনশানস নৌ-যানটি সবার শেষে রওনা করেছিল। কিন্তু এটি তাদের বহরের আওতায় থাকা অন্য আটটি নৌ-যানকে ধরে ফেলেছে। কনশানসের গতি বেশি হওয়ায় এটি সম্ভব হয়, তবে এখন জাহাজটির গতি কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বহরের সবগুলো নৌ-যান একসঙ্গে রয়েছে।  

কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের একটি জাহাজ। এফএফসি হলো গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নামক বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ, যা ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর উদ্যোগে জড়িত। তবে কনশানসসহ এফএফসির বহরে কোনো খাদ্য সহায়তা নেই।

ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে শহিদুল আলম লিখেছেন, ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস একটি অবিস্মরণীয় ও সাহসী চিন্তা। জাতিগত নিধন রোধে যখন বিশ্বনেতারা চুপ থাকলেন বা কপটতার আশ্রয় নিলেন, তখন সাধারণ মানুষই নিজের হাতে নেমে এলো— এই সিদ্ধান্তই তার প্রাণ। হাজারো জাহাজের ধারণা প্রতীকী হলেও, এভাবে একত্রিত হয়ে যেসব নৌ-যান বেরিয়েছে তা নিঃসন্দেহে সমুদ্রযান ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বহরগুলোর মধ্যে একটি।

কনশানস এ বহরের সবচেয়ে বড় নৌ-যান গত ৩০ সেপ্টেম্বর এটি সবার শেষে ইতালি থেকে রওনা করেছিল। এ জাহাজটির আগে আরও আটটি নৌযান রওনা করেছিল। এ ছাড়া আরও দুটি নৌকাও আগে ছিল। তবে ওই দুটি নৌকার অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। কনশানস সবার শেষে রওনা করলেও এটির গতি বেশি হওয়ায় আগে রওনা করা আটটি নৌ-যানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন কনশানসের গতি কমানো হয়েছে এবং সব নৌ-যান একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমরা কনশানসের মানুষগুলো অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে অটল। যদি কেউ আমাদের আটকাতে চায়, তো আরও অনেকে সামনে এসে দাঁড়াবে। দমন–পীড়নকারী কখনোই জনতার ঐক্য ও সংকল্পকে ভাঙতে পারেনি। ইসরায়েলও এই অভিযানের সামনে ব্যর্থ হবে বলে আমাদের বিশ্বাস; মুক্তি আসবেই, ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে। ’

এদিকে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সবগুলো নৌ-যান আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ‘দ্য ম্যারিনেট’ নামে পোল্যান্ডের পতাকাবাহী একটি নৌ-যান আটকের মধ্য দিয়ে গাজায় অবরোধ ভাঙতে যাওয়াদের নিবৃত করে দখলদাররা।  

আল জাজিরা জানিয়েছে, দ্য ম্যারিনেটসহ ইসরায়েলি সেনারা মোট ৪৪টি নৌযান আটকে দিয়েছে। আটক করেছে প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মীকে। তারা এখন অনশনে বসেছেন।

এনডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।