নীলফামারী: এবার দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় তৈরি হয়েছে নতুন ধরনের রেলকোচ। এসব কোচে মেট্রোরেলের আদলে উভয় পাশে লম্বা আসন ও দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রীদের জন্য স্পেস রাখা হয়েছে।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ ধরনের দুইটি কোচ নির্মাণ করা হয়েছে এ কারখানায়। এসব কোচ যুক্ত হবে ঈদের স্পেশাল ট্রেনে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও আসনবিহীন টিকিটধারী যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এ কোচ নির্মাণ করা হয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদে ঘরমুখী যাত্রী পরিবহনে এ কারখানায় অতিরিক্ত কোচ মেরামত হয়ে থাকে। নিয়মিত কাজের বাইরে এবার সৈয়দপুর কারখানায় অতিরিক্ত ১১০টি কোচ মেরামত করা হয়। এছাড়াও ট্রেনে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ১০টি পাওয়ার কার (কোচ) মেরামত হয়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়।
একই সূত্র জানায়, ঈদে যে-সব কোচ মেরামত করা হয়েছে, তা দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চারটি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এছাড়া বাড়তি যাত্রী পরিবহনের জন্য আন্তঃনগর ট্রেনেও এসব কোচ জুড়ে দেওয়া হবে। এর সঙ্গে এবারই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে দুইটি ভিন্ন নকশার কোচ পূণর্বাসন করা হয়েছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশলীরা পুরাতন কোচের ইন্টেরিয়ার ডিজাইন (আভ্যন্তরীণ নকশা) বদলে নতুন ধরনের এই অঙ্গসজ্জা করেছেন। যা অনেকটা মেট্রোরেলের কোচের মতো।
কোচের উভয় পাশে আছে লম্বা আসন। সেগুলোতে কিছু যাত্রী বসে যেতে পারবেন। এছাড়াও ১৪১ জন যাত্রী উপরের হাতল ধরে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন ওই কোচে। অর্থাৎ এক একটি কোচে ২২১ জন যাত্রী বসে ও দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কার্য ব্যবস্থাপক (ডাব্লিউ এম) শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, কোচ দুইটি নির্মাণে রাজস্ব খাত থেকে ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলবহরে এবারে প্রথম এ ধরনের কোচ সংযোজন হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখী অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে এগুলো অবদান রাখতে পারবে বলে আশা করছি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রতিটি ট্রেনে ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে ট্রেনে যুক্ত হবে এসব কোচ। ফলে আসনবিহীন টিকিটধারী যাত্রীরা সেগুলোতে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। ঈদের পরেও বিশেষ ট্রেন তিনদিন চলবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
এফআর