ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর কারা ভ্যাট বসালো, জানি না: কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর কারা ভ্যাট বসালো, জানি না: কাদের

ঢাকা: মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর কারা ভ্যাট বসিয়েছে, তা জানেন না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসছে জুলাই থেকে, হঠাৎ করে কারা এ ধরনের ঘোষণা দিল? এ সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না।

এটি আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব। বিশেষ সেবাধর্মী পরিবহন মেট্রোরেল। মানুষ এর সুফল পাচ্ছে। কোথায় জুলাই মাস! আর আমরা এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তও নিইনি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে হুট করে কারা এ ধরনের খবর দিলো, আমি জানি না। বিষয়টি সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল। তারা কিন্তু আসল জায়গায় যাননি।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুস্থ, গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর খামারবাড়ির টিঅ্যান্ডটি মাঠে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে মৎস্যজীবী লীগ।

মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বম। এরা রাঙ্গামাটিতে নেই, খাগড়াছড়িতে নেই, আছে বান্দরবানে। এরা কিছু কিছু সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছে। যৌথ অভিযান চলছে। আমি মনে করি না, এতে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হবে। এটি মনে করার কোনো কারণ নেই। আমি আশা করি অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বিএনপি সমালোচনা করে বলে, সরকার দেশজুড়ে হরিলুট চালাচ্ছে। কীভাবে হরিলুট চলছে, কোথায় হরিলুট চলছে। অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না। সত্য বলুন। ৮০ ভাগ লোক জেলে, আজ মির্জা ফখরুল মায়াকান্না কাঁদেন। এই ৮০ ভাগের তালিকা কোথায়? কোথায় হরিলুট চলছে? আজকের সংকটে পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন নেই, রাত নেই, অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ার জন্য।

আরও পড়ুন:  মেট্রোরেলের টিকিটে বসছে ১৫% ভ্যাট, বাড়বে ভাড়া

আওয়ামী লীগ দেশে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আজ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বাধীন করেছি। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি। এর আগে ছিল প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। এখন স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো দেশ দাবি করতে পারবে না, তাদের গণতন্ত্র পরিপূর্ণ। পরিপূর্ণতা কোথাও আসেনি। আমরাও চেষ্টা করছি। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান। এ প্রতিষ্ঠানকে যেকোনো মূল্যে আমরা বাঁচিয়ে রাখবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু কিছু দল নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ, আন্দোলনে ব্যর্থ। বলেছিল, সরকার নির্বাচন করতে পারবে না। তারা ঠেকাতে পারেনি। নির্বাচন হয়ে গেছে। তারপর বলেছিল, পাঁচদিনও টিকবে না এ সরকার। সেই জানুয়ারির ৭ তারিখ থেকে তিন মাস হয়ে গেল, সরকার টিকে আছে। বিএনপির এখন চেয়ে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
এদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে তারা। গণতন্ত্র উদ্ধার করেছেন, শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। রাতারাতি গণতন্ত্রের শাখা-প্রশাখা বিকশিত হবে, এমনটি ভাবার কারণ নেই। আমাদের গণতন্ত্র অনেক পরীক্ষা, বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর এদেশে গণতন্ত্রের চিহ্নও ছিল না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা রমজান মাসের শেষ পর্যায়ে। ঢাকা এবং সারা দেশের উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের পার্টি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা নিজেরা ইফতার পার্টি করিনি। এবার গণভবনে ইফতার পার্টি হয়নি। গতবারও হয়নি। আমরা ইফতার পার্টি না করে অসহায়-গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করব। এটিই আমাদের নেত্রীর নির্দেশ। সেভাবেই আমরা আমাদের রোজার মাসের পরিকল্পনা নিয়েছি এবং সেভাবেই সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিপদে-আপদে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।

মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়ীদুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।