ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কেএনএফের আরও ৩ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৪
কেএনএফের আরও ৩ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪ গ্রেপ্তার তিন কেএনএফ সদস্য

বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে কেএনএফের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক লুটের ঘটনায় তাদের সহযোগী এক গাড়িচালককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ভানুনুন নুয়ান বম (২৫), জেমিনিউ বম (২৪) আমে লনচেও বম (২৫) ও মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার (২৮)।

রোয়াংছড়ি ইউনিয়েনের ৬ নং ওয়ার্ডের জিংচুন নুং বমের ছেলে ভানুনুন এবং জেমিনিউ ও লনচে সম্পর্কে ভাইবোন। তারা থানচি সদরের ৯নং ওয়ার্ডের লাল মুম চম বমের সন্তান।

অন্যদিকে গাড়িচালক কফিল উদ্দিন থানচি সদরের টিএন্ডটি পাড়ার বাসিন্দা মো. ইউসুফের ছেলে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে থানচির টিএন্ডটি পাড়া থেকে গত ২ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের বলেরো গাড়ি জব্দ করা হয়। একইদিন রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে বান্দরবান সদর থানাধীন রেইচা চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেই গাড়ির চালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার ও কেএনএফের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী।  

তিনি জানান, গ্রেপ্তার গাড়িচালক কফিল উদ্দিনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি তিন কেএনএফ সদস্যের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। বিস্তারিত পরে জানাবো হবে।

কেএনএফ সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।  

গ্রেপ্তার গাড়িচালক কফিল উদ্দিন ও জব্দকৃত গাড়ি

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা এবং থানচিতে ব্যাংকে হামলা, ডাকাতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করেছিল কেএনএফ। উপস্থিত লোকজন ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০/১৫টি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি মামলা করা হয়েছে।

অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও লুট করা টাকা-অস্ত্র উদ্ধারে রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী।  

উপজেলার সার্বিক নিরাপত্তায় নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন পদক্ষেপ। এরই অংশ হিসেবে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বান্দরবানে আনা হয়েছে ৪টি বিশেষ সাঁজোয়া যান (এপিসি)। আর এই বিশেষ সাঁজোয়া যান (এপিসি) দিয়ে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে বান্দরবানের এমন পরিস্থিতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, জনগণকে আতংকিত না হতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

ব্যাংকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা ও লুটের ঘটনার জেরে বান্দরবানে রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এই তিন উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রম গত বৃহস্পতিবার থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে, আর এই শাখাগুলোর কার্যক্রম বান্দরবান কার্যালয় থেকে চলমান রয়েছে বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তারা।  

কৃষি ব্যাংক বান্দরবান শাখার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোস্তফা এহতেশাম হায়দার মজুমদার জানান, আজ বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি শাখার লেনদেন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।