ঢাকা, সোমবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জুন ২০২৫, ১২ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে জাতীয় চিড়িয়াখানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০৬, জুন ৮, ২০২৫
ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে জাতীয় চিড়িয়াখানা চিড়িয়াখানা

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। সকাল গড়াতেই বেড়েছে ভিড়, শিশু-কিশোরদের সঙ্গে পরিবার নিয়ে ছুটে আসছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

রোববার (৮ জুন) সকাল থেকেই রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনোদনপ্রেমীরা ছুটে আসেন চিড়িয়াখানায়। ১১টার পর থেকেই লোকের লোকারণ্য হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

চিড়িয়াখানার বাঘ, সিংহ, হরিণ, বানর আর নানা জাতের পাখিগুলোই সবচেয়ে বেশি টানছে শিশুদের।  

দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বিস্তৃত সবুজ চত্বর, ছায়াঘেরা বসার জায়গা, প্রশস্ত রাস্তা ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। তীব্র গরমের মধ্যেও এসব ব্যবস্থাই কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে দর্শনার্থীদের।

নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আক্তার হোসেন বলেন, অনেক দিন পর এলাম। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পশুপাখি দেখে খুব ভালো লাগছে।  

শিশু আলিফ বলেছে, চিড়িয়াখানায় ঢোকার সময় কলা-বাদাম নিয়ে এসেছি বানরকে খাওয়ানোর জন্য। বানর কাছে এলে খুব মজা লাগছে।

সরকারি চাকরিজীবী জসিম উদ্দিন এসেছেন স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে। তিনি বলেন, অনেক বছর পর চিড়িয়াখানায় এলাম। ভেতরে হকারদের ঝামেলায় একটু বিরক্ত হচ্ছি। এক খাঁচা থেকে আরেক খাঁচায় যেতে বারবার শিশুদের কিছু কিনতে বলা হচ্ছে।

তবে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় রয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরদারি। হারিয়ে যাওয়া শিশু কিংবা প্রবীণদের খুঁজে বের করতে রয়েছে নিজস্ব অনুসন্ধান ব্যবস্থা। প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন হারিয়ে যাওয়া দর্শনার্থীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

চিড়িয়াখানার কিউরেটর ড. মো. আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের লম্বা ছুটি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দর্শনার্থী কিছুটা কম হলেও ছয় দিনে প্রায় ছয় লাখ দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছি।  

জেডএ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।