ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সদরঘাটের দুর্ঘটনায় মামলা, রিমান্ড চেয়ে আসামিদের পাঠানো হচ্ছে আদালতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
সদরঘাটের দুর্ঘটনায় মামলা, রিমান্ড চেয়ে আসামিদের পাঠানো হচ্ছে আদালতে

ঢাকা: রাজধানীর সদরঘাটে টার্মিনালে লঞ্চের ছিঁড়ে আসা দড়ির আঘাতে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিনগত রাতে ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় দুই লঞ্চের চার মাস্টার ও এক ম্যানেজারকে আসামি করা হয়েছে, যাদের এরই মধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারদের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪) এবং এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭৬)।

নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, মামলার এজাহারে অবহেলাজনিত বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের ধাক্কায় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে পাঁচজন মারা যান। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন- মো. বেলাল (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের শিশুসন্তান মাইসা (৩)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। নিহত অন্য দুজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।

ওই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়া, এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ দুটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
পিএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।