ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জমি নিয়ে বিরোধ, মা-ছেলেকে পেটানোর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
জমি নিয়ে বিরোধ, মা-ছেলেকে  পেটানোর অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মো. রবিউল ইসলাম নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে। এ সময় তার মাকেও মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।  

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনিসুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

অভিযুক্তরা হলেন- সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঙ্গাখাঁ গ্রামের আবদুল মান্নান, তার ছেলে জুয়েল হোসেন, ইকবাল হোসেন টিটু, মিঠু, মেয়ে সিমি, পুত্রবধূ মিতু বেগম, স্বজন নাছির, আমেনা আক্তার ও অজ্ঞাত পাঁচজন।  

জানা গেছে, মারধরের ঘটনার পর গত ১৭ এপ্রিল রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পরে থানা থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিসুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বাদী রবিউল সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ গ্রামের মৃত মো. হারুনুর রশিদের ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে সম্প্রতি স্নাতক (অনার্স) সম্পন্ন করেছেন।  

সদর মডেল থানার এএসআই মো. আনিসুজ্জামান বলেন, গত ২৩ এপ্রিল সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছি। বাদীর মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) এখনও পাইনি। এমসি পেলেই তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মান্নানদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রবিউলদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল বিকেলে অভিযুক্তরা তাদের জমিতে প্রবেশ করে ১৫টি ফলদ গাছ কেটে ক্ষতিসাধন করেন। সেসময় জমিতে থাকা নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙে ফেলে। এতে রবিউলদের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে রবিউল ও তার মা মুরশিদা বেগম অভিযুক্তদের বাধা দেন। এতে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের (মা-ছেলে) দুজনকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তাদের গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।  

রবিউল ইসলাম বলেন, আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। সেই সূত্রে আমরা মানিকগঞ্জ থাকতাম। গ্রামের বাড়িতে এসে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। এরমধ্যে মান্নান ও তার ছেলেরা আমাদের জমি জোর করে দখল করার পাঁয়তারা করছেন। বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আবদুল মান্নানদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।