ঢাকা, শনিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

শাবিপ্রবির উপাচার্যের নাম-ছবি ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ 

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৪
শাবিপ্রবির উপাচার্যের নাম-ছবি ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ 

শাবিপ্রবি (সিলেট): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পরিচিত জনের কাছে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

শুক্রবার (০৩ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, অজ্ঞাত একটি প্রতারক চক্র আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পরিচিত জনের কাছ থেকে অর্থ সহযোগিতা চাচ্ছে প্রতারকের একটি চক্র। কে বা কারা এ ধরনের কাজ করছে তা আমার জানা নেই।

সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেন, অর্থ আয়ের লক্ষ্যে এবং আমাকে বিপদে ফেলতে প্রতারক চক্র আমার নাম পরিচয় ব্যবহার করে এ ফাঁদ পেতেছে। কিছুদিন আগেও একইভাবে আমার পরিচয় দিয়ে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আমাকে জানালে আমি তাদের টাকা পাঠাতে নিষেধ করে দেই। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের কাছ থেকেও তারা অর্থ সহযোগিতা চেয়েছে। তাই সবাইকে এমন কার্যক্রম নিয়ে সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।  

তিনি আরও বলেন, প্রতারকদের এমন কার্যক্রম নিয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফয়সাল জহির রিজন নামে এক ব্যক্তির আইএফআইসি ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখার একটি অ্যাকাউন্টের নম্বর দিয়ে ২৩ হাজার টাকা সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হয়। যার A/C নম্বর: ০১৯০৩৩৭৩৮৫৮১১ এবং রাউটিং নম্বর: ১২০২৬৩৭০১। এই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দ্রুত নিশ্চিত করে স্ক্রিনশট দিতে বলা হয়। এর আগেও উপাচার্যের নামে একাধিক ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মেইল অ্যাকাউন্ট খুলে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ পরিচিত ব্যক্তির কাছে অর্থ সহযোগিতা চাওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।