ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জরুরি বিভাগে ডাক্তার না থাকায় হাসপাতাল কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
জরুরি বিভাগে ডাক্তার না থাকায় হাসপাতাল কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ

নোয়াখালী: নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক না থাকায় একই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. হানিফ (৫৫) নামে রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১২ মে) সকাল ৯টা ১০মিনিটের দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঘটনাটি ঘটে।

 

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে সৈকতকে হাতিয়ার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।  

নিহত মো. হানিফ নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিনারায়ণপুর এলাকার মসজিদ বাড়ির মান্নাছ মিয়ার ছেলে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন।

জানা যায়, গত দুই দিন ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হানিফ। পরে রোববার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।  

ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি বেশি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে পুনরায় সকাল ৯টা ১০মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম সৈকত ইমার্জেন্সিতে না থাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান হানিফ। পরে অন্য আরেকজন ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ এনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আধা ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে।   

নিহতের মেয়ে ঝুমুর অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার না থাকায় তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি।  

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, সকালে হানিফকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিলেন না। তারপর তাকে দ্রুত ওয়ার্ডে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।  

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. হেলাল উদ্দিন জানান, রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা না নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ইমার্জেন্সিতে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার না থাকায় বিনা চিকিৎসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি আরও জানান, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরুরিভাবে অভিযুক্ত ডাক্তারকে হাতিয়ার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।