ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আসক্তিতে শিশুদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আসক্তিতে শিশুদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে না’

ঢাকা: গুজব প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভাষা প্রয়োগ, ছবি ও ভিডিও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়।

ওই সকল মাধ্যমে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অবশ্য সচেতনতার পাশাপাশি মানসিকতা পরিবর্তনও জরুরি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার কক্ষে ‘গুজব প্রতিরোধে প্রচারাভিযান: তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ উপকরণ পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তারা।

সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) ও পিআইবি আয়োজিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।

তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধে প্রথমত সচেতনতা দরকার। কারণ সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়ানো হয় সামাজিক মাধ্যমসমূহে। এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অসম্পাদিত মাধ্যম। একে সংবাদমাধ্যম হিসেবে গণ্য করা যায় না। তাই গুজব প্রতিরোধে সচেতনতার গুরুত্ব অপরিসীম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির কারণে শিশুদের সুকুমারবৃত্তি প্রস্ফুটিত হচ্ছে না।

স্থানীয় পত্রিকাসমূহ ফ্যাক্টচেক বিষয়টি সম্পর্কে এখনো তেমন একটা অবগত নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনশীল। বর্তমান সময়ের মতো ফেক নিউজ, মিস ইনফরমেশন, ম্যাল ইনফরমেশনের মতো শব্দ নতুন সংযোজিত হলেও পূর্বেই সেটা ভিন্ন নামে যেমন- তথ্য ও অপতথ্য নামে পরিচিতি ছিল। অনলাইনে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে গুজবের কিছু বাস্তব তথ্য উপস্থাপন করে তিনি ওই সকল বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

সাকমিড’র অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক সৈয়দ কামরুল হাসান বলেন, গুজব প্রতিরোধে মাল্টিস্টেক হোল্ডার সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় সমাজে মানুষের আচরণ পরিবর্তন হয়ে যাবে। তথ্য, অপতথ্য ও কীভাবে গুজব ছড়ায়, কারা গুজব ছড়ায়, কি ধরনের গুজব ছড়ায় এবং এসব থেকে পরিত্রাণের বিষয়ে সাকমিড আগামীতে কাজ করবে।

সাকমিড’র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম বলেন, সরকারের পাশাপাশি তথ্য মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও পিআইবিসহ সাকমিডের মতো কয়েকটি দায়িত্বশীল সংস্থা সমাজের নানাস্তরে গুজব প্রতিরোধের জন্য নানাবিধ র্কমসূচি গ্রহণ করছে। কয়েকটি দাতা সংস্থাও এ ব্যাপারে তাদের সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছে।

পিআইবি’র সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দীন বলেন, ফেইসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমসমূহ মানুষের মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ করে। মানুষ একটি ইতিবাচক দিক শুনতে কিংবা দেখতে চাইলে অন্ততপক্ষে ১৭টি নেতিবাচক বিষয় শুনতে বা দেখতে চায়। তাই সেখানে ইতিবাচক কন্টেন সরবরাহ করতে হবে।

রিউমার স্ক্যামের সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ বা গ্লোবাল মিডিয়া মনিটরিং ১৯৯৫ সালে শুরু হলেও ২০০৫ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয়। যদিও বাংলাদেশে গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ খুব একটা ফলপ্রসূ নয়, তারপরও কিছু নীতিমালার বিষয় রয়েছে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল ভদ্র, বুম বাংলাদেশের সম্পাদক আমির শাকির, ফেসবুক বাংলাদেশের মুখপাত্র শুভাশিস দ্বীপ, উন্নয়ন কর্মী মাহবুবা আহমেদ রোজি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet