ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে বাড়ছে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে বাড়ছে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা

পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বাড়ছে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা। ফলে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দর এলাকায় জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত।

 

রোববার (২৬ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর নিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিত হয়েছে। এটি রোববার সকাল ০৬টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। পরে আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ)- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে পরিবর্তে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে।

এদিকে জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ০৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা

হয়েছে। চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে কঠোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এই খবরে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে প্রচার সহায়তা করছে রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি ভলান্টিয়াররা।

এ বিষয়ে শনিবার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। সভায় জানানো হয়, জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৭৩০ মেট্রিক টন চাল ও প্রায় ১০ লাখ নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির নয় হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকাসহ বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করাসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সংরক্ষিত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।