ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যবসায়ীর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় ঢাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
ব্যবসায়ীর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় ঢাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় ছাত্রলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।  

গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ মে) আদালতের রায়ে তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।  

দুই নেতা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ফলিত রসায়ন কেমিকৌশল বিভাগের ছাত্র নাফিস ফুয়াদ। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী। অন্যজন নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের পরিবেশ সম্পাদক মাহিদুর রহমান বাঁধন। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী।  

জোরপূর্বক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২১ এপ্রিল শাহবাগ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মো. রুবেল।  

মামলায় নিশান, রাসেল মিয়া ও রাফির নামসহ চার/পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। অজ্ঞাতনামা হিসেবে নাফিস ফুয়াদ ও মাহিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মো. রুবেল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে শাহবাগে ডেকে আনেন নিশান। সেখানে পৌঁছালে অভিযুক্তরা তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নিয়ে যান। সেখানে নির্জন স্থানে তাকে বাঁশ-লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় তার মোবাইল থেকে সিটি ব্যাংকের অ্যাপস থেকে ৫০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিয়ে যায়। এরপর নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে নেন।

এ ছাড়াও রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা, পরবর্তী এটিএম কার্ড থেকে টিএসসি জনতা ব্যাংকের বুথ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা এবং মানিব্যাগ থেকে ৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত। আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাহিদুর রহমানকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তবে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিচিত এক বড় ভাই আমাদের ডেকে নিয়েছিলেন। টাকা পাওনা নিয়ে একটা বিষয় ছিল। মারধরের মতো কিছু ঘটেনি। পরে থানায় বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছি। থানা থেকে মামলার কাগজপত্র পেলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।