ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রিমালের তাণ্ডব: বিদ্যুৎহীন লক্ষ্মীপুরের অনেক এলাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
রিমালের তাণ্ডব: বিদ্যুৎহীন লক্ষ্মীপুরের অনেক এলাকা

লক্ষ্মীপুর: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্নস্থানে বৈদ্যুতিক লাইন বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে টানা দুইদিন বিদুৎ ছিল না লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে।

ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন রামগতি ও কমলনগর উপজেলায়।

স্থানীয়রা জানায়, ঝড় শুরু হওয়ার আগেই রোববার (২৬ মে) রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়। এদিন বেলা ১২ দিকে বিদ্যুতের দেখা পায় পৌর শহরে বাসিন্দারা।

তবে জেলা শহরের বাহিরে উপজেলার বেশির ভাগ স্থানে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।  

দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগের পড়েছে জেলার বাসিন্দারা। বিশেষ করে বাসাবাড়িতে পানি না থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে সবাইকে। আর বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মোবাইল সেবা ও ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ লোকজনে মুঠোফোনে চার্জ ছিল না, তাই যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়।  

লক্ষ্মীপুর জেলার পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। আর জেলার অন্যসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান খান মঙ্গলবার দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ৩০ থেকে ৩৫টি খুঁটি ভেঙে গেছে। ১২০টির বেশি খুঁটি হেলে পড়েছে। গাছাপালা পড়ে বিভিন্ন স্থানে লাইন বিধ্বস্ত হয়েছে। আড়াই হাজার মিটার তার ছিঁড়ে গেছে।  

তিনি আরও বলেন, গতরাত সাড়ে ৩টার দিকে ৩৩ কেভি লাইন চালু হয়েছে। এছাড়া সদর, চন্দ্রগঞ্জ, ভবানীগঞ্জ, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কমলনগর উপজেলার কিছু অংশে লাইন চালু হয়েছে। তবে রামগতি উপজেলা এখনও পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। ১৩টি সাবস্টেশনের মধ্যে আটটি চালু করা হয়েছে। লাইন মেরামত শেষ হলে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।  

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবের তাদের সাত থেকে আটটি খুঁটি উপড়ে পড়েছে। গাছের ডাল-পালা পড়ে বিভিন্নস্থানে লাইন ছিঁড়ে গেছে। এ জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এছাড়া ঝড়ে আমাদের ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ২৮ মে, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।