ঢাকা: ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনেও প্রিয়জনের কাছে যেতে গ্রামের উদ্দেশে ছুটছেন নগরবাসী। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তাদের এ ছুটে চলা।
সোমবার (৯ জুন) রাজধানীর গাবতলী ও শ্যামলী বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা এবং মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে গ্রামের বাড়ি যশোরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কর্মরত রেজাউল হাসান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ছুটি আছে এ কারণে গ্রামের উদ্দেশে ছুটেছি। গ্রামে গিয়ে আগে বাবা-মার কবর জিয়ারত করবো এরপর আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সময় কাটাবো বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাস কর্তৃপক্ষ। তবে নেই কোনো সিডিউল বিপর্যয়। গাড়ি আসা মাত্রই যাত্রীরা টিকিট নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে গাবতলীর হানিফ এন্টার প্রাইজের কাউন্টার মাস্টার লালন বলেন, সরকারি লম্বা ছুটির কারণে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম রয়েছে। অনেকে যাত্রী নিয়ে আসার জন্য গাড়ি ফেরত আনেননি। কিন্তু আমাদের হানিফ এন্টার প্রাইজ খালি গাড়ি ফেরত নিয়ে যাত্রী সেবা দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছি না। আমরা বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছি বলে তিনিও জানান কাউন্টার মাস্টার লালন।
ঈদের তৃতীয় দিনেও যাত্রীদের চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের ম্যানেজার কামরুল আলম সবুজ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে যে রকম যাত্রীদের চাপ ছিল এখনও কোনো অংশে কম নয়। তবে সড়কে জ্যাম না থাকায় আগেই গাড়ি কাউন্টারে চলে আসছে এবং যাত্রী ভরে রওয়ানা দিচ্ছে।
ঈদের দুইদিন মালিকের বাসায় কাজের চাপ ছিল তাই ছুটি পাইনি আজ থেকে পাঁচ দিন ছুটি কাটাবো বলে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিচ্ছি বলে জানিয়েছেন গৃহকর্মী সালেহা বেগম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে যানজট নেই আশা করি নির্ধারিত সময়ে বাড়ি পৌঁছে যাব। প্রতি বছরই আমরা কোরবানির ঈদের তৃতীয় দিন বাড়িতে যাই।
সোমবারও পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শুধু বাস নয়, ব্যক্তিগত গাড়ি ও প্রচুর মোটরসাইকেল আরোহীকে সকাল থেকেই ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।
এসএমএকে/আরআইএস