ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের অস্ত্রের মহড়া

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
বিজয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের অস্ত্রের মহড়া

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হওয়ার পর মারুফ হোসেন সুনামের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিলেন বিজয়ী প্রার্থী মাহবুবে সোবহান সজলের বাড়ির সামনে।  

এ সময় নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ও তার পরিবারকে গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেল পৌনে তিনটার দিকে উপজেলার মনিরামপুর বাজারে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া হয়।  

এর আগে দুপুরে অস্ত্র নিয়ে শাহজাদপুর শহরে মোটরসাইকেলযোগে শোডাউন করেন তারা। মামুন স্থানীয় সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের সমর্থক বলে পরিচিত।

নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব সোবহান শেখ সজল বলেন, উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করে আমি বাসায় ফিরেছিলাম। এর কিছুক্ষণ পরে শুনি বাইরে শোরগোল হচ্ছে। আমার বাড়িতে প্রবেশের প্রধান সড়কে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মামুন ও সাবেক মেয়রের ছেলে সবুজ ইসলামের নেতৃত্বে অস্ত্রের মহড়া দেওয়া হয়েছে। এ সময় আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি দেয় তারা। পরে আমাদের লোকজন এগিয়ে এলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বিষয়টি আমরা তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানিয়েছি। তারা চলে যাওয়ার পরে পুলিশ আসে।

সজল আরও বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা এমপি মহোদয়ের সঙ্গে থাকেন। উপজেলা নির্বাচনে তারা ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী মারুফ হোসেন সুনামের পক্ষে কাজ করেছেন। শান্ত শাহজাদপুরকে এরা অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে জানতে পরাজিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী মারুফ হোসেন সুনামের মোবাইলফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম বলেন, সেখানে মহড়া-টহরা বলতে কিছু হয়নি। দু’পক্ষই অবস্থান নিয়েছিল। আমি তাৎক্ষণিক পুলিশ ও র‌্যাবকে জানিয়েছি। সন্ত্রাসীর কোনো পক্ষ-বিপক্ষ নেই। তাদের প্রতিহত করতে হবে। শাহজাদপুরের মানুষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে রাখা আমার দায়িত্ব। আমি সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমরা অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার কথা শুনেছি। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যারা মহড়া দিয়েছে, তাদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।