ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চোর সন্দেহে এক তরুণকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে।
রোববার (৯ জুন) বিকেলে হাসপাতালটির নতুন ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
সানজু জানান, তার মামা ডালিম (৬০) নতুন ভবনের একটি ওয়ার্ডে ভর্তি। বিকেলে তিনি মামাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। তবে ওয়ার্ড ও বেড নম্বর তার জানা ছিল না। ভবনের সপ্তম তলার ওয়ার্ডে মামাকে খুঁজছিলেন তিনি।
তখন সেখানকার কর্মীদের পাশাপাশি জহিরুল ইসলাম নামে এক আনসার সদস্য তাকে চোর সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সানজু তাদের জানান, তিনি রোগীর স্বজন। তিনি রোগী দেখতে এসেছেন।
এরপর সানজু ওই আনসার সদস্যকে নিয়ে ষষ্ঠ তলায় নামেন। ষষ্ঠ তলায় স্বজনের সঙ্গে দেখা হয়। এরপর সানজু ও আনসার সদস্য জহিরুলের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আনসার সদস্য তাকে মারধর করেন এবং সহকর্মীদের ফোনে ডেকে আনেন। তাকে টেনে-হিঁচড়ে লিফটে নিচে নামিয়ে উপর্যুপরি মারধর করেন আনসারের টহল দলের বেশ কয়েকজন সদস্য।
সানজুর ভগ্নিপতি মো. লোকমান জানান, ওই আনসার সদস্য তাকে (সানজু) বলেন, ‘তোর রোগী নাই, তুই মোবাইল চুরি করতে এসেছিস। ’ এটি বলার পর দুজনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে আনসারের ওই সদস্য এবং তার সহকর্মীরা মিলে তাকে মারধর করেন। স্বজনদের সামনেই তাকে এলোপাতাড়ি পেটান। পরে আনসার সদস্যরাই তাকে জরুরি বিভাগের সার্জারির সাত নম্বর কক্ষে নিয়ে চিকিৎসা করান। সানজুর ঘাড়, মাথা ও পেটে আঘাত করেছে।
তিনি বলেন, সানজু হাসপাতালে গিয়েছিল তার অসুস্থ মামাকে দেখতে। আর তাকে মোবাইল চোর সন্দেহে এভাবে মারধর করেছেন তারা। আনসার সদস্যদের কি কারো শরীরে হাত তোলার অধিকার আছে? আমার ভাইকে যারা মেরেছে, আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি।
অভিযুক্ত আনসার সদস্য জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ষষ্ঠতলায় নামার পর স্বজনকে পেয়ে হঠাৎ ওই তরুণ তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। খুব বাজে ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন তাকে। এক পর্যায়ে তাকে (সানজু) একটি চড় দিলে হাতাহাতি হয়।
রোগীর স্বজনকে আনসার সদস্যের মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানেন না। একটি বৈঠকের কারণে দিনের বেলায় তিনি হাসপাতালের বাইরে ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মাসুদ বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
এজেডএস/আরএইচ