ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫, আটক ১৮

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫, আটক ১৮

মাদারীপুর: মাদারীপুরে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ১৮ জনকে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

সোমবার (১০ জুন) রাতে সদর উপজেলার পূর্বরাস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, প্রেমের সম্পর্কের জেরে দেড় বছর আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্বরাস্তি গ্রামের আক্কাস মুন্সির ছেলে অপু মুন্সির সঙ্গে শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকার বাদশা বেপারীর মেয়ে নিশি আক্তারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে ছয় মাস আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সোমবার বিকেলে বাড়ির কাছে হঠাৎ দেখা হলে নিশির সঙ্গে কথা বলেন অপু।

বিষয়টিতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিশির পরিবার অপুকে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পূর্বরাস্তি এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষ। এ সময় অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে দফায় দাফয় সংঘর্ষ। খবর পেয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্তণে আনে পুলিশ। সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ আহত হয় অন্তত ১৫ জন। ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আর এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামসহ আহত দুই পুলিশ সদস্যকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কহিনুর বেগম বলেন, হঠাৎ চারদিক থেকে শত শত লোকজন এসে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ভয়ে দরজা বন্ধ করে দেই। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মূলত প্রেমিক-প্রেমিকা দুই গ্রুপ এ সংঘর্ষে জড়ায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, শত শত মানুষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। টিনের চালের ওপর ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরিবারের সদস্যের নিয়ে ঘরের ভেতর থাকি। পুলিশ প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মাহিন্দ্র চালক বলেন, আমার গাড়িটি পার্কিং করা ছিল। একদল দুর্বৃত্ত গাড়িটি ভাঙচুর করে। থানা থেকে পুলিশ আমার গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। আমি গরিব মানুষ, এ ঘটনার বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন জানান, সংঘর্ষ থামাতে ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আটকদের আদালতে তোলা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।