নারায়ণগঞ্জ: জেলার ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পরিবার।
শনিবার (২৯ জুন) ফতুল্লার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে নিহতের ছেলে মুন্না বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় স্থানীয় সন্ত্রাসী ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সালাউদ্দিন সালু ও হীরাসহ ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার রাতেই বাপ্পী ও জামাল নামে এজাহার নামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
ওসি নুরে আজম মিয়া জানান, মামলার মূল আসামি সালাউদ্দিন সালু ও হিরা তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলাও রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার নানা তৎপরতা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নের আলীপাড়া এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ মিয়াকে দিনে দুপুরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সুরুজ মিয়াকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন তার দুই ছেলেসহ চারজন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় ইট বালু সিমেন্টসহ ইমারত নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালু ও হিরার সঙ্গে সুরুজ মিয়ার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই সুরুজ মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। নিহত সুরুজ মিয়া স্থানীয় আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
এমআরপি/এসআইএ