ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট, অভিযোগ আরএনবি কমান্ড্যান্টের বিরুদ্ধে

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৪
ঢাকায় একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট, অভিযোগ আরএনবি কমান্ড্যান্টের বিরুদ্ধে আরএনবি কমান্ড্যান্ট শহীদ উল্লাহ

ঢাকা: ঢাকার রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কমান্ড্যান্ট শহীদ উল্লাহর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য করে অবৈধ অর্থ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ঢাকায় পাঁচটি ফ্ল্যাট, কুমিল্লায় ৩০ বিঘা জমি এমনকি শাশুড়ির নামে ঢাকার অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটও কিনেছেন শহীদ উল্লাহ।

এসব দুর্নীতি করেছেন ২০১৮ সালে ১৮৪ জন সিপাহী নিয়োগে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।  

অভিযোগটির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের সহকারী পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানিয়েছেন, বাহিনীতে নিম্নমানের ইউনিফর্ম দিয়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের বিষয়ে আরএনবির কমান্ড্যান্ট শহীদ উল্লাহর বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে চিঠিও ইস্যু করেছি।

যদিও এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শহীদ উল্লাহ। তিনি শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলানিউজকে বলেন, ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আমাকে যে চিঠি দিয়েছে তার জবাব দিয়েছি। আমার নামে যেসব সম্পদ আছে বলা হচ্ছে, তা নেই। ঢাকা শহরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুব ভালোভাবে তো চলতে পারি না। ’ 

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার শান্তিনগরে অবস্থিত একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় শাশুড়ির নামে ফ্ল্যাট কিনেছেন শহীদ উল্লাহ। এই ফ্ল্যাটের দাম প্রায় তিন কোটি টাকা। যদিও শাশুড়ির কোনো আয়ের উৎস নেই। এ ফ্ল্যাটেই স্ত্রী, সন্তানসহ শহীদ উল্লাহ বসবাস করেন।

এ বিষয়ে শহীদ উল্লাহ বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তির বাইরে কিছু নেই। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শান্তিনগরের বহুতল ওই ভবনের পাশেই রয়েছে শহীদ উল্লাহর ছয়তলা একটি ভবন। ঢাকার উত্তরায় তিনটি, রাজধানীর মুগদাপাড়ায় আরও দুটি প্লট এবং কুমিল্লায় ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে ৩০ বিঘা জমি কিনেছেন তিনি।  

দুদক সূত্রের দাবি, তার বিপুল সম্পদ অর্জনের পেছনে রয়েছে ২০১৮ সালে ১৮৪ জন সিপাহী নিয়োগ। সেই নিয়োগে শহীদ উল্লাহ নিজেই ৮৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এখান থেকে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ দেওয়ার পরও অন্তত ১০ কোটি টাকা অবৈধ আয় হয়েছে তার।

গত ২৭ জুলাই দুদক থেকে ইস্যু করা চিঠিতে শহীদ উল্লাহর বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগের ওপর নথিপত্র চায় দুদক। এর মধ্যে ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ইউনিফর্ম, বুট, মোজা, রেইনকোট, ফগার মেশিন, হ্যান্ড মাইক বিতরণ সংক্রান্ত কাগজ, আরএনবির বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের কাগজসহ আটটি বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বিষয়ে নথিপত্র পেয়েছে দুদক।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৪
এনবি/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।