ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষার্থী জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের হোতা রাজিন গ্রেপ্তার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
শিক্ষার্থী জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের হোতা রাজিন গ্রেপ্তার 

ঢাকা: রাজধানীর ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের হোতা চৌধুরী রাজিন ইকবালকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪ এর একটি দল।  

রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হোতা রাজিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।  

তিনি জানান, গত ৬ জুলাই সন্ধায় রাজধানীর মিরপুরে শাহআলী থানাধীন ঢাকা কমার্স কলেজের পার্শ্ববর্তী চারতলা বিল্ডিং এর তৃতীয় তলায় একটি ভাড়া বাসায় একজন কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী জোবায়ের এবং গ্রেপ্তার আসামি রাজিন ঢাকা কমার্স কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গত জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে গ্রেপ্তার  আসামি রাজিনের কাছ থেকে কলেজের শিক্ষক একটি দাবা বোর্ড বাজেয়াপ্ত করে। যার প্রেক্ষিতে সে কলেজের উপদেষ্টা বরাবর নিয়মিত শিক্ষার্থী উল্লেখ করে দাবা বোর্ডটি গ্রহণের জন্য আবেদন করে। কিন্তু ভুক্তভোগী এ শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন হওয়ায় আবেদনটিতে নিয়মিত শিক্ষার্থী উল্লেখ করাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টির এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। পরে এ কলেজের শিক্ষকদের মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়। অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি অবহিত ও সতর্ক করা হয়।  

এ ঘটনার জেরে আসামী রাজিনের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সে ভুক্তভোগীকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৬ জুলাই দুপুরে আসামি রাজিন ভুক্তভোগীকে কমার্স কলেজের পার্শ্ববর্তী নিজ ভাড়া বাসায় কৌশলে ডাকে এবং তার ডাকে সাড়া দিয়ে ভুক্তভোগী সেখানে পৌঁছায়। পরে বিকেলে ভুক্তভোগী (জুবায়ের) সেখানে পৌঁছালে তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে গ্রেপ্তার আসামি ভুক্তভোগীকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। গ্রেপ্তার আসামি রাজিন হত্যার বিষয়টি তার বাবাকে জানালে সে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানার আগেই রাজিনকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।  

তিনি আরও জানান, পরে মরদেহ সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ অবগত হলে হত্যাকারীর বাবা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বাবা ও ছেলে উভয়েই নির্দিষ্ট একটি স্থানে মিলিত হয়। গ্রেপ্তার আসামি রাজিনের বাবা মাইক্রোবাসযোগে ছেলেকে নিয়ে হবিগঞ্জে পালিয়ে গিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে নিজেও অন্যত্র আত্মগোপনে চলে যায়।
 
গ্রেপ্তার আসামিরর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
এসজেএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।