বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রিবিকা বালা (৩৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের ধারণা, নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহনন করেছেন ওই গৃহবধূ।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রাহুতপাড়া গ্রামে বাড়ির পাশের একটি গাব গাছের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় রশি পেচানো অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রিবিকা বালা রাহুতপাড়া গ্রামের সঞ্জীত বালার স্ত্রী। তিনি পাশ্ববর্তী ডাসার থানার নবগ্রাম এলাকার উপেন্দ্র নাথ বাড়ৈর মেয়ে।
রিবিকা বালার বড় ভাই সুবির বাড়ৈ দাবি করেন, তার বোনজামাই সঞ্জীত বালা দীর্ঘদিন থেকে পরকীয়া প্রেমে জড়িত। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, পরকীয়ার পাশাপাশি যৌতুকের দাবিতে সঞ্জীত বালা প্রায়ই তার বোনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সুবির বাড়ৈ জানান, সোমবার রাতে তার বোনের সঙ্গে সঞ্জীতের তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। তাদের ধারণা, বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সঞ্জীতের শারীরিক নির্যাতনে তার বোন রিবিকা মারা গেছেন। পরে সঞ্জীত স্বজনদের সহায়তায় মরদেহ বাড়ির পাশের গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে এলাকায় আত্মহত্যার কথা রটিয়ে দিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সঞ্জীত বালা আত্মগোপনে।
স্বজনদের বরাতে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, দুই সন্তানের জননী রিবিকা বালাকে বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে নির্যাতনে করে আসছিলেন তার স্বামী সঞ্জীত বালা। নির্যাতন সইতে না পেরে মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাব গাছের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন রিবিকা বালা।
তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই স্বামী সঞ্জীত বালা স্ত্রী রিবিকা বালার মরদেহ গাছ থেকে নামিয়ে ফেলেন। পরে পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের বারান্দা থেকে রিবিকার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার দুপুরের পরে রিবিকার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
এমএস/এইচএ/