ঢাকা: কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হওয়া আব্দুর রহমান (৪৪) নামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
নিহতের পরিবারের দাবি, বাজারে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম এই মানুষটি।
বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তার মৃত্যু হয়। নিহত রহমানের বাড়ি নরসিংদীর সদর উপজেলার দক্ষিণ চৌয়া গ্রামে। এক ছেলে ও তিন মেয়ের জনক তিনি।
হাসপাতালে নিহতের শ্যালক হুমায়ুন কবির জানান, তার ভগ্নিপতি কৃষিকাজ করেন। গত ২০ জুলাই শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি নরসিংদীর পাচদোনা বাজারে যাচ্ছিলেন। বাজারে পৌঁছানোর আগে পাচদোনা মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় তার পিঠে একটি গুলি লাগে। গুলিটি পেট ফুরে বেরিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তিতে স্বজনরা খবর পেয়ে ওইদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। সেখানেই আজ সকালে তিনি মারা যান।
তিনি জানান, আব্দুর রহমান কোন আন্দোলনে ছিলেন না। বাজারে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম এই মানুষটি।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
এজেডএস/এমএম