ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ-বিজিবিসহ সড়কে পড়ে থাকা অবস্থায় আরও ২০জনের মরদেহ ধারাবাহিকভাবে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পুলিশ।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৯জনের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
নিহতরা হলেন- রোমান (২২), সাইফুদ্দিন (৬০), অজ্ঞাত পুরুষ (৩২), রুবেল (১৮), অজ্ঞাত পুরুষ (৫০), আসিফ (১৬), অজ্ঞাত পুরুষ (৪০), অজ্ঞাত পুরুষ (৩২), অজ্ঞাত পুরুষ (৩৮), মাহমুদ (২১), মনির (৪৫), অজ্ঞাত পুরুষ (৩০), অজ্ঞাত পুরুষ (৩০), অজ্ঞাত পুরুষ (৪০), অজ্ঞাত পুরুষ (৩৬), শাহরিয়ার আলম বাপ্পী (৩৫)।
বাপ্পীর খালাতো বোন খালেদা আক্তার পুনম জানান, তাদের বাসা মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের বি-ব্লকে। বাপ্পী কিছুই করতো না। গতকাল রাত ১০টার দিকে চা খেতে বাসা থেকে বের হয়। এরপর আজকে দুপুরে খবর পাই হাতিরঝিলের পানিতে ভাসছে বাপ্পীর মরদেহ। পরে সেখান থেকে মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তার বাম হাতে গুলির চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে পানিতে পড়ে মারা গেছে সে।
এছাড়া আজ সকালে ডিএমপি ডিবি উত্তর জোনে কর্মরত নিহত পুলিশ পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম (৪৪), গাজিপুর শ্রীপুর থেকে আব্দুল আলীম শেখ (৪৪) নামে এক বিজিবি সদস্য, যাত্রাবাড়িতে নিহত আনোয়ার হোসেন (৫৭) নামে এক র্যাব সদস্য ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল থেকে মাহফুজুর রহমান (২৪) নামে এক পুলিশ সদস্যের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
মাহফুজুর রহমানের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার তিলকপুর গ্রামে। বাবার নাম মো. সোলায়মান হোসেন। মাহফুজ মিরপুর পিএমও তে কর্মরত ছিল। গতকাল সংসদ ভবন এলাকায় আন্দোলকারীদের হামলায় নিহত হন তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২০জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৪
এজেডএস/আরএ