ফেনী: ফেনীতে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক স্বপ্রণোদিত হয়ে শহরে পরিচ্ছন্নতা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের প্রশংসিত এ কার্যক্রমে ফেনী শহরে স্বস্তি নেমে এসেছে।
শহর ঘুরে দেখা যায়, ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও খেজুর চত্বর এবং দোয়েল চত্বর এলাকায় বেশ কিছু তরুণ তীব্র রোদের মধ্যে পরিবহনের শৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করছে। তারা সবাই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
পথচারী মাহমুদুল হাসান জানান, ফেনী শহরের ট্রাঙ্ক রোড ও শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের মোড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবহনের ভিড়ে যানজট লেগে থাকে। সোমবার এবং মঙ্গলবার চলমান পরিস্থিতির কারণে ফেনী শহরের কোথাও পুলিশ বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের লোকজন দেখা যাচ্ছে না। ফেনীর তরুণদের প্রচেস্টায়, ফেনীর প্রধান দুটি সড়কে এখন পর্যন্ত যানজট দেখা যাচ্ছে না। তরুণদের এমন উদ্যোগে আমরা পুলকিত।
স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের সদস্য ওসমান গনি রাসেল বলেন, ট্রাফিক সদস্যরা রাস্তায় না থাকায় হঠাৎ ফেনী শহরে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে বিভিন্ন পরিবহন এবং পথচারীদের নানা দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এ দুর্ভোগ লাঘবে সকাল থেকে স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের শতাধিক সদস্য নিয়ে আমরা রাস্তায় কাজ করছি।
তিনি বলেন, ট্রাফিক কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের সদস্যরা, শহরের ট্রাঙ্ক রোড, মহিপাল, শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি।
ফেনীর জ্যেষ্ঠ মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঞাঁ বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে ছাত্ররা যে সব কাজে নেমেছিল, তারা সব ক্ষেত্রেই সফল হয়েছেন। ৪৮, ৫২, ৬৯ ও ৭১ সালেও তরুণ এবং শিক্ষার্থীরা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। ফেনীর স্বেচ্ছাসেবকরা যেভাবে রাস্তায় নেমে ট্রাফিক এবং পরিছন্নতায় কাজ করছেন, তাদের চেহারায় আমি আগামীর বাংলাদেশ দেখছি। সমৃদ্ধির বাংলাদেশ দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৪
এসএইচডি/এএটি