টাঙ্গাইল: সড়কে পুলিশ নেই, নেই ট্রাফিক পুলিশও। যান চলাচলে নির্দেশনা দেবে কে? এমন সময় রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে টাঙ্গাইল শহরের এমন চিত্র নজর কেড়েছে। অল্প সময়ে সুনাম কুড়িয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশ যে নিয়মগুলো যানবাহন চালকদের মানাতে পারেনি নিমেষেই সেগুলো করে দেখাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
অতিরিক্ত অটোরিকশায় টাঙ্গাইল শহরে যানজট লেগেই থাকতো। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশদের প্রায়ই হিমশিম খেতে হতো। অথচ অল্প সময়ে যানজট নিরসন করেছেন শিক্ষার্থীরা। শহরের দুই লেনের রাস্তায় প্রায়ই দেখা যেত যানবাহন তিন-চার লেনে চলাচলের চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় সড়কের যানবাহনগুলো দুই লেনে ফিরে এসেছে।
শিক্ষার্থীরা প্রতিটি মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে যান চলাচলে নানা ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছে। একটি দল ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি রাখছে। যানবাহন বামে চলতে ও দুই লেনে ফিরে আসতে আরেকটি দল নির্দেশনা দিতে ছোট মাইক ব্যবহার করছেন। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের দাঁড় করিয়ে ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে। পরামর্শ শুনে কেউ কেউ তাৎক্ষণিক হেলমেট কিনছে। যানবাহনের কাগজপত্র দেখতে গাড়িকে থামিয়ে রাখছে না। মামলার ভয় নেই। প্রতিটি মোড়ে সর্বোচ্চ এক মিনিট করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। পথচারীদের রাস্তা পারাপার করতে সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থীরা। এমন শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক পুলিশদের কাজে দায়িত্ব পালন করায় চালকরা খুশি। খুশি যাত্রীরাও।
একাধিক চালক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ নানা সময় গাড়ির কাগজপত্র দেখতে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে রাখে। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র দেখার নামে কোনো গাড়ি থামিয়ে রাখছে না, দুই লেনে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে যানজট নিরসন হচ্ছে।
যাত্রীরা বলছেন, অনেকদিন পর বুধবার শহরে চলাচল করে ভালো লাগছে। ফুটপাতগুলো মুক্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সড়কগুলো পরিচ্ছন্ন করেছে। অহরহ যাত্রী নামানোর বিড়ম্বনা নেই। যাত্রীর জন্য কোথাও কোনো অটোরিকশা থেমে থাকছে না। এতে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি। শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ট্রাফিক পুলিশসহ আমাদের সবার নিয়মকানুন শেখা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৪
আরএ