গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দু-একশো টাকার শাক বেচতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা টোল দিতে হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। হাট-বাজারগুলোতে মূল্যতালিকা না থাকার সুযোগে ইচ্ছে মতো আদায় করা হচ্ছে টোল।
ঘুষ গ্রহণসহ সেবাপ্রত্যাশীদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, শিক্ষা অফিস, এলজিইডি ও পিআইও অফিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসানের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভায় এসব অভিযোগ উঠে আসে।
সভায় সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মো. মুন্না ইসলাম (রা.বি.), সাকিব আল হাসান শিহাব (ঢাবি), মাসুদ রানা শেখ (ঢাকা কলেজ), ইউসুফ মণ্ডল উল্লাস (তিতুমীর কলেজ), অর্ণব আহমেদ সামিদ (TMSS), মো. রবিউল ইসলাম (পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ), রায়হান কবীর রাহেন (রাবি) প্রমুখ।
তারা বলেন, ঘুষ, লুটপাট, অনিয়ম-দুর্নীতি আজ সমাজসহ রাষ্ট্রের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। যার কারণে সামান্য একজন শাক বিক্রেতাকে দু-একশো টাকার শাক বেচতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা টোল দিতে হচ্ছে। একজন স্বল্প পুঁজির শাক বিক্রেতাকে যদি এত বেশি টাকা টোল দিতে হয়, তাহলে তারা কীভাবে পরিবারের ভরণপোষণ চালাবে। এভাবেই সর্বত্র চলছে লুটপাট। ভুক্তভোগী এসব পরিবারে বিরাজ করছে বোবা কান্না। সড়ক-মহাসড়কর প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন নিরীহ চালকরা।
হাট-বাজার গুলোতে টোল আদায়ের তালিকা না থাকার সুযোগে শোষণের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। সাধারণ মানুষ আজ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
অহরহ হয়রানির অভিযোগ স্থানীয় থানাসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, শিক্ষা অফিস, এলজিইডি ও পিআইও অফিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বলতে গেলে পুরো সিস্টেমটাই আজ অনিয়ম-দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। পুরো রাষ্ট্রের সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।
সমন্বয়করা রাষ্ট্র সংস্কারের এ যাত্রায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বাজার মনিটরিং জোরদারসহ চলমান এ সংস্কার অভিযানে নিরলসভাবে লড়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৪
আরএ