ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুলাউড়ায় ফানাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতেই এলাকাবাসীর চলাচল

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
কুলাউড়ায় ফানাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতেই এলাকাবাসীর চলাচল

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় লক্ষীপুর-হাসিমপুর সড়কে ফানাই নদীর ওপরের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসীসহ স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

উপজেলার ফানাই নদীর ওপর এটি নির্মাণ করা হয়েছিল প্রায় দুই যুগ আগে। ২০২১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে নদী পুনঃখনন করা হয়। এ সময় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের স্রোতে সেতুটি দেবে যায়। সেসময় থেকেই এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানসহ লোকজন চলাচল করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে এলজিইডির উদ্যোগে প্রায় ২৪ মিটার দীর্ঘ পাকা ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। লক্ষ্মীপুর-হাসিমপুর সড়কে ফানাই নদীর ওপর ওই সেতু দিয়ে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের পুরশাই, ভাটগাঁও ও দেওগাঁও, কর্মধা ইউনিয়নের হাসিমপুর, বেড়ি, রাঙ্গিছড়া এবং রাউতগাঁও ইউনিয়নের নর্তন, কবিরাজি ও পালগ্রামের অন্তত ২০ হাজার লোকজন প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে কর্মধা ইউনিয়নের রাঙ্গিছড়া বাজারসহ উপজেলা সদরে চলাচল করেন।

এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর, গুতগুতি, প্রতাবী এলাকার শিক্ষার্থীরা সেতুর ওই পারে কর্মধা ইউনিয়নের বাবনিয়া হাসিমপুর নিজামিয়া দাখিল মাদরাসায় গিয়ে পড়ালেখা করে। অন্যদিকে বাবনিয়া, বেড়িসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার শিক্ষার্থীরা সেতুর এপারে লক্ষ্মীপুর মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ালেখা করে।  

সূত্র আরও জানায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে পাউবো প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা খননযন্ত্র (এক্সকেভেটর) দিয়ে পুনঃখনন করে। কাজ সমাপ্ত হবার আগেই অতিবৃষ্টিতে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামে। তখন সেতুর মধ্যবর্তী স্থান দেবে যায়। একই সময় সেতুর পূর্ব পাশের বাঁধে রাঙ্গিছড়া-লক্ষ্মীপুর-গুতগুতি সড়কের প্রায় ১০০ ফুট জায়গা ধসে পড়ে। বর্তমানে চলতি বন্যায়ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে আবারও সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

বর্তমানে সেতুর পূর্ব পাশে স্থাপিত একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, যান চলাচল নিষেধ, আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ। ‘ দেবে যাওয়া সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন হাঁটার সময় সতর্কভাবে সেতু পারাপার হচ্ছেন। প্রায় ১২-১৪ ফুট সড়কের দুইভাগ ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। সীমিত পরিসরে ওই সড়ক দিয়ে একইভাবে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের যান ও লোকজন চলাচল করছে। যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহমেদ আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি নির্মাণে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে দিয়ে রেখেছি। এখনো সেটি অনুমোদন হয়ে আসেনি। এলে সড়ক ও সেতুর বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
বিবিবি/আরএ                                  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।